বাংলানিউজ ॥
মহররম মাস, হিজরি সনের প্রথম মাস। আল্লাহ তায়ালা যেসব মাসকে সম্মানিত মাস হিসেবে ঘোষণা করেছেন তার মধ্যে মহররম মাস অন্যতম।
কোরআনের ভাষায় যাকে ‘হারাম মাস’ হিসেবে অভিহিত করা হয়েছে। আর ১০ মহররম অন্যতম একটি দিন। যা আশুরা নামে পরিচিত। আশুরা শব্দটি শুনলে সাধারণ মানুষ শিউরে ওঠে। কারণ, অনেকেই মনে করে, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লামের নাতি হোসাইন (রা.) শহীদ হওয়ার কারণেই এদিনের মর্যাদা। অথচ এটা সঠিক নয়। তবে এই ঘটনা এদিনের তাৎপর্যকে আরও বাড়িয়েছে নিঃসন্দেহে।
আল্লাহ তায়ালা ইচ্ছা করলে যে কোনো দিনকে অন্য দিনের ওপর মর্যাদাবান ও প্রাধান্য দিতে পারেন। আমাদের উচিত সেদিনের মাহাত্ম্য ও তাৎপর্য বুঝে এর ওপর আমল করা।
১০ মহররম ও এর আগের বা পরের দিন রোজা রাখা সুন্নত। এক হাদিসে রাসুলুল্লহ সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লাম বলেছেন, এদিন রোজা রাখলে সারা বছরের গোনাহর প্রতিদান হয়ে যায়। তবে রাসুলুল্লহ সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লাম এর নির্দেশ হলো, ১০ মহররমের সঙ্গে এর আগের বা পরের দিন মিলিয়ে মোট দুইদিন রোজা রাখা। তবে কেউ শুধু আশুরার রোজা রাখলে গোনাহগার হবেন না। তবে এ দিনকে ঘিরে তৈরি হয়েছে বিভিন্ন ধরনের রসম-রেওয়াজ। যা দ্বীনে সংযোজিত বিদআত হিসেবেই গণ্য। বিদআত অনেক বড় পাপ, শিরকের পরেই এর স্থান। আমাদের উচিত বিদআত কাজ থেকে বিরত থাকা এবং কোরআন ও হাদিস অনুযায়ী আমল করা।