চতুর্থ দিনে লাঞ্চ বিরতি পর ১০ রান যোগ করতেই সবকটি উইকেট হারিয়ে ৫০১ রান করেছে স্বাগতিক বাংলাদেশ। প্রথম ইনিংসে কিউইদের দেয়া ৪৬৯ রানের লক্ষ্য ব্যাট করে ৩২ রানের লিড নিয়েছে বাংলাদেশ। ব্যাচ হাতে মমিনুলের ১৮১ রানের সঙ্গে গোজীও তার প্রথম শতকপূর্ণ করেন। তিন ওভার বাউন্ডারি ও ১০ বাউন্ডারি হাকিয়ে ১০১ রান করেন সোহাগ গাজী। ২০১২ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টেস্ট অভিষেক ঘটে সোহাগ গাজীর। রবিউলকে সাথে নিয়ে ১০৪ রানে পার্টনারশিপ করেন গাজী।
লাঞ্চ বিরতির পর প্রথম ওভারে ব্যাক্তিগত ৩৩ রানে আউট হন রবিউল ইসলাম। ডগ ব্রাসওয়েলের বলে টেইলরের কাছে বল তুলে দেন রবিউল। রুবেল হোসেন করেন চার রান।
শনিবার সকালে শুরু হওয়া এ খেলা জিটিভি ও বাংলাদেশ টেলিভিশন (বিটিভি) সরাসরি সম্প্রচার করছে।
শুক্রবার নিউজিল্যান্ডের বোলারদের ঘাম ছুটিয়ে বাংলাদেশের মমিনুল হক তৃতীয় সর্বোচ্চ ইনিংস খেলে কোরি এন্ডারসনের এলবিডব্লুর ফাঁদে পড়েন তিনি। এর আগে মার্শাল আইয়ুব ও মুশফিকুর রহিমের সঙ্গে দুটি শক্ত জুটি গড়ে দলকে সন্তোষজনক অবস্থানে নিয়ে যান বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান। তার অনবদ্য ব্যাটিংয়ে নিউজিল্যান্ডের ৪৬৯ রানের জবাবে প্রথম ইনিংসে দলীয় সংগ্রহ তিনশ’ ছাড়ায়।
মমিনুলের পর মুশফিকও সাজঘরে ফিরলে নাসির হোসেনের ব্যাটে কিছুটা সন্তোষজনক অবস্থানে থেকে বাংলাদেশের তৃতীয় দিন শেষ হয়েছে। ৭ উইকেটে হারিয়ে ৩৮০ রান সংগ্রহ তাদের।
আগের দিন ৮ রানে দুই উইকেট হারিয়ে শুরুতেই বিপদে পড়েছিল বাংলাদেশ। শঙ্কা জাগিয়েছিল আরেকটি ব্যাটিং বিপর্যয়ের। কিন্তু অভিষিক্ত ব্যাটসম্যান আইয়ুবকে নিয়ে সারাদিন টিকে রইলেন মমিনুল। দুই উইকেটের বিনিময়ে দলীয় ১০৩ রানে তৃতীয় দিন খেলতে নামে এই জুটি।
ব্যক্তিগত ৭৭ রানে নেমে একের পর এক দর্শনীয় শট খেলে মমিনুল পৌঁছে যান অভিষেক শতকে। ৯৮ বলে ১৮টি বাউন্ডারি হাঁকিয়ে এই অর্জনে পৌঁছান তিনি। তবে ক্যারিয়ারের প্রথম টেস্টকে রঙিন করতে ব্যর্থ হন আইয়ুব। মমিনুলের সঙ্গে তার ১২৬ রানের সেরা জুটি ভাঙেন এন্ডারসন। ১০৯ বলে ১টি চারে ২৪ রান করেন এই ব্যাটসম্যান।
আগামী ২১ অক্টোবর মিরপুর শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে হবে শুরু হবে সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্ট।
এছাড়া টাইগারদের সঙ্গে ৩টি এক দিনের ম্যাচেও মুখোমুখি হবে সফরকারী নিউজিল্যান্ড। খেলাগুলো হবে ২৯ ও ৩১ অক্টোবর এবং ৩ নভেম্বর মিরপুর শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে।