মেহেরপুর প্রতিনিধি : মেহেরপুরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালতে স্ত্রীর দায়ের করা যৌতুক মামলায় সোমবার হাজিরা দিতে এসেছিলেন উভয়পক্ষ। দুপুরের দিকে আদালতের তিনতলার বারান্দা থেকে স্ত্রীকে জাপটে ধরে নিচে ফেলে দিয়ে নিজও নিচে ঝাঁপিয়ে পড়েন। উভয়ে নিচে কংক্রিট ব্যাডমিন্টন কোটে পড়ে মারাত্মক আহত হন। কোর্ট চত্বরে অবস্থানরত লোকজন ফায়ার সার্ভিসে ফোন করেন। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের সিভিল ডিফেন্সের সদস্যরা ও কোর্ট চত্বরে অবস্থানরত লোকজন তাদের মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করে মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে নেয়। স্বামীর অবস্থা আশংকাজনক।
মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার সওড়াতলা গ্রামের আবুল কাশেমের ছেলে মামুনুর রশিদ পাশের তেঁতুলবাড়িয়া গ্রামের ফরিদুল ইসলামের মেয়ে সিমা আক্তারের সাথে প্রায় একযুগ আগে আনুষ্ঠানিকভাবে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। বিয়ের পর থেকেই স্ত্রী সিমাকে স্বামী মামুনুর যৌতুকের জন্য চাপ সৃষ্টি করে আসছিলেন। কখনো কখনো শারীরীক নির্যাতনও করতেন। একপর্যায়ে সিমা আদালতে মামলা দায়ের করেন। সোমবার মামলায় হাজিরা দিতে আসেন উভয় পক্ষ। মামলার বাদী, আসামি ও তাদের অভিভাবকেরা আদালত ভবনের তিনতলার এজলাসের সামনে বারান্দায় অবস্থান করছিলেন। একপর্যায়ে মামুনুর সীমাকে জাপটে ধরে ৩ তলা থেকে নিচে ফেলে দিয়ে সাথে সাথে নিজেও নিচে ঝাঁপিয়ে পড়েন। আদালত চত্বরে থাকা লোকজন তাদের মুমূষুর্ অবস্থায় উদ্ধার করে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের সিভিল ডিফেন্স সদস্যরা এসে তাদের মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে নেয়।
সিমা আক্তার জানান, বিয়ের পর থেকেই তার স্বামী যৌতুকের দাবিতে তাকে নিয়ার্তন করত। নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে তার বিরুদ্ধে কোর্টে মামলা করেন। মামলার হাজিরা দিতে এসে তিনতলায় দাঁড়িয়ে ছিলেন। হঠাৎ করেই মামুন এসে তাকে জাপটে ধরে নিচে ছুঁড়ে মারে। পাশে থাকা অনেকেই দেখেছে তাকে ফেলে দেয়ার দৃশ্য। সে আমাকে হত্যার উদ্দেশেই নিচে ফেলে দেয়।
হাসপাতালের বেডে চিকিৎসাধীন থাকা মুমূর্ষু অবস্থার কারণে মামুনুরের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
প্রত্যক্ষদশীর্ আরমান আলী বলেন, ছেলেটা দূরে ছিলো। দৌড়ে এসে মেয়েটিকে জাপটে ধরে নিচে ফেলে দেয়। সাথে সাথে সেও নিচে লাফ মারে।