সমাজের কথা ডেস্ক : প্রযুক্তির উন্নয়নের সঙ্গে সঙ্গে বাড়ছে নানা সাইবার হামলা ও স্ক্যামের ঘটনা। এইজন্যই নানা কাজে হোয়াটসঅ্যাপের ব্যবহার বেড়েছে। কেননা সামাজিক বা যেকোন কাজের প্রয়োজনে অনেকেই নিয়মিত হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার করেন। ব্যবহারকারীর সংখ্যা দ্রুত বৃদ্ধির কারণে অ্যাপটিতে প্রতারণা ও জালিয়াতির ঘটনা বেড়েই চলেছে।
নিজের ভুলের কারণে অনেকেই হচ্ছে প্রতারণার স্বীকার। এই অ্যাপের অপব্যবহার করে ব্যবহারকারীদের বোকা বানাতে বার্তা পাঠানোর পাশাপাশি কলও করে থাকে সাইবার অপরাধীরা। তাই হোয়াটসঅ্যাপে প্রতারণা থেকে রক্ষা পেতে কয়েকটি দিকে নজর রাখা প্রয়োজন।
অচেনা ফোন নাম্বার : ফোনে সেভ নেই এমন নাম্বার থেকে হোয়াটসঅ্যাপ কল এলে সাবধান হয়ে যান। বিদেশি কোনো নাম্বার থেকে কল এলেও তা দেখে বোঝা যায়। এসব ক্ষেত্রে সেই নাম্বরের কল রিসিভ না করাই ভালো।
পরিচয় নিশ্চিত হয়ে নিন : ব্যক্তিগত কোনো তথ্য কাউকে দেওয়ার আগে তার পরিচয় নিশ্চিত হয়ে নিন। কথায় অসংগতি থাকলে বারবার যাচাই করুন। এনআইডি, ব্যাংক অ্যাকাউন্ট নম্বর ও অন্য ব্যক্তিগত তথ্য দেওয়ার ক্ষেত্রে সতর্ক থাকতে হবে। এটিএম কিংবা ইন্টারনেট ব্যাংকিংয়ে পিন নম্বর একান্তই আপনার, এমন তথ্য কোনো অবস্থাতেই দেবেন না।
তাড়াহুড়ো নয় : টাকা-পয়সা জেতার প্রলোভন দেখিয়ে ফাঁদে ফেলার চেষ্টা করেন প্রতারকরা। ক্রমাগত ব্যাংক অ্যাকাউন্ট কিংবা পরিচয়পত্রের নম্বরের জন্য চাপ দিতে থাকেন তারা। সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময়টুকুও দিতে চান না। এসময়ে তাড়াহুড়ো করা অনর্থক।
সন্দেহজনক লিংক : মোবাইলে মাঝে মাঝেই মেসেজ আসে– আপনি টাকা জিতেছেন। আর পাঠানো লিংকে ক্লিক করলেই পেয়ে যাবেন সেই টাকা। এ ধরনের মেসেজের ক্ষেত্রে শতভাগ সম্ভাবনা থাকে প্রতারণার শিকার হওয়ার। এমন প্রলোভন থেকে দূরে থাকাই ভালো।
টু ফ্যাক্টর অথেন্টিফিকেশন : বাড়তি নিরাপত্তার জন্য হোয়াটসঅ্যাপে রয়েছে ‘টু ফ্যাক্টর অথেন্টিফিকেশন’র ব্যবস্থা। হোয়াটসঅ্যাপ হ্যাক করার ঝুঁকি অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে রাখা যায় এ ব্যবস্থায়।