সাইফুল ইসলাম : হেমন্তের শেষ দিনে কনকনে শীতে কাপলো যশোর। তাপমাত্রার পারদ নেমেছিল ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। শীতে যশোরের জন্য ভালো খবর দিচ্ছে না আবহাওয়া অফিস।
তারা বলছে তাপমাত্রা ক্রমান্বয়েই কমতে থাকবে। শুক্রবার দেশের সর্বোনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১০ দশমিক ৬ ডিগ্রী সেলসিয়াস, চুয়াডাঙ্গা জেলায়।
শীতের তীব্রতায় শহরের জনজীবনে কিছুটা স্থিবিরতা দেখা গেছে। সাপ্তাহিক ছুটির দিন হওয়ায় প্রয়োজন ছাড়া ঘরেই ছিলেন অধিকাংশ মানুষ। তবে কাজের মানুষদের মৃদু কুয়াশার সাথে কনকনে ঠাণ্ডা উপেক্ষা করেই বাইরে যেতে হয়েছে। আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে দেশের কয়েকটি জেলায় শৈত্যপ্রবাহ হতে পারে আর একটা শৈত্যপ্রবাহ আট থেকে ১০ দিন বা ১৫ দিন পর্যন্ত হতে পারে।
যশোর বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমান বিমান ঘাঁটির আবহাওয়া দপ্তর অফিস সূত্রে জানা যায়, যশোরে আগামী কয়েকদিন তাপমাত্রা আরও কমতে পারে এবং বাতাসের তীব্রতা আরও বাড়তে পারে।
এদিকে উত্তরের হিমেল বাতাসের সঙ্গে কুয়াশার দাপটে বিপাকে পড়েছেন খেটে খাওয়া মানুষ। রিকশাচালক হাফিজুর রহমান বলেন, কয়েকদিন শীত বেড়ে যাওয়ায় সকালে মানুষজন কম বের হচ্ছে ফলে ভাড়া পাওয়া যাচ্ছে না।
চা বিক্রেতা শামিম রহমান জানায়, শীত শুরু হয়েছে। তবে এখনো কেউ গরম কাপড় দেয়নি। সকালে এবং সন্ধ্যায় চা বিক্রিও কমে গেছে।
সদর উপজেলার চুড়ামনকাটি গ্রামের কৃষক আরশাদ আলী বলেন, ঘন কুয়াশার কারণে ধানের বীজতলা নিয়ে চিন্তা হচ্ছে। এভাবে টানা কুয়াশা পড়লে আলুখেতের ক্ষতি হতে পারে।
কনকনে ঠান্ডায় শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তিদের শীতজনিত রোগবালাই বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। শিশুরা ঘণ্টায় আক্রান্ত হচ্ছে। হাসপাতালেও ঠান্ডা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে।