নড়াইল প্রতিনিধি : জেলার লোহাগড়া উপজেলার চরদৌলতপুর গ্রামের এসএসসি পরীক্ষার্থী সিরাজুল ইসলাম ওরফে শেখকে (১৬) হত্যা করার পর লাশ যেন কেউ শনাক্ত না করতে পারে সেজন্য ব্যাটারির এসিড মুখমন্ডল ও মাথায় ঢেলে মাথা ও মুখের মাংস গলিয়ে দেন সবুর শেখ (৫৩)। শুক্রবার (১২ মে) বিকেলে লোহাগড়া জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতের বিচারকের কাছে এসএসসি পরীক্ষার্থী সিরাজ শেখকে হত্যার স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দেন তিনি (সবুর শেখ)।
সবুরের স্বীকারোক্তি মোতাবেক হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত গরু জবাই করা ছুরি ও রক্তমাখা কোদালের আছাড় উদ্ধার করেছে পুলিশ।লোহাগড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো: নাসির উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশ জানায়, নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার ইতনা ইউনিয়নের চরদৌলতপুর গ্রামের ইকরাম শেখের ছেলে এসএসসি পরীক্ষার্থী সিরাজুল ইসলাম ওরফে সিরাজ শেখের বিকৃত লাশ নিখোঁজের ৪দিন পর গত বুধবার (১০মে) বিকেলে লংকারচর গ্রামের মিরু শেখের বাড়ীর পাশের বাগান থেকে উদ্ধার করে পুলিশ।
এর আগে গত ৬ মে রাতে (ইংরেজি দ্বিতীয়পত্র পরীক্ষার আগের দিনগত রাত) নিখোঁজ হন সিরাজ শেখ। এ হত্যাকান্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে একই গ্রামের সবুর শেখ (৫৩), তার স্ত্রী শাহিনা বেগম (৪৭), ছেলে জাহিদুল শেখ (২০) ও মেয়ে ইয়াসমীনকে গ্রেফতার পুলিশ।
লোহাগড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো: নাসির উদ্দিন আরো বলেন, প্রেমজ সম্পর্কের কারণে খুন হন এসএসসি পরীক্ষার্থী সিরাজুল ইসলাম ওরফে সিরাজ শেখ। মামলা রজুর ১৫ ঘন্টার মধ্যে পুলিশের একাধিক টিম তদন্ত পূর্বক হত্যার রহস্য উন্মোচন করতে সক্ষম হয়। গ্রেফতারকৃত চার আসামিকে আদালতে হাজির করলে জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দিতে হত্যার কথা স্বীকার করেন সবুর শেখ। পরে তাদেরকে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়।