কপিলমুনি প্রতিনিধি : কপিলমুনির আগরঘাটাস্থ স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রে স্বাভাবিক প্রসবসেবা (নরমাল ডেলিভারি) তে ক্যানুলাসেট ও অক্সিজেন সিলিন্ডারসহ ফিটাল ডপলার দান করলেন সমাজসেবক আব্দুল মজিদ মোড়ল। রবিবার সকালে এসকল সরঞ্জামাদি আনুষ্ঠানিকভাবে গ্রহণ করেন উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মামুন। সংশ্লিষ্টরা বিরাশী গ্রামের বাসিন্দা ব্যবসায়ী আ. মজিদ মোড়লের প্রতি অভিবাদন জানিয়েছেন। কেন্দ্রটির পরিবার কল্যাণ পরিদর্শিকা স্মিতা রাণী দাশ বলেন, উক্ত সরঞ্জামাদি তাকে আরো উন্নত সেবা প্রদান করতে সহায়তা করবে।
ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মামুন— স্বাভাবিক প্রসব সেবার জন্য জনবল সংকট, ক্যানুলাসেট ও অক্সিজেন সিলিন্ডার, ফিটাল ডপলার সহ নানাবিধ সরঞ্জামাদি সংকটের মধ্যে তার এ মহানুভবতার জন্য আন্তরিক অভিবাদন জানান। এ সময়ে সাংবাদিকসহ স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রের জমিদাতা আব্দুল জব্বার বাবুল, পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রের পরিদর্শিকা স্মিতা রাণী দাশ ও তার সহকর্মী মিনিবালা সরদার, সহকারী বাসুদেব মন্ডল, এফপিএফ জিয়াউর রহমান সহ কপিলমুনি ইউনিয়নের সকল পরিবার কল্যাণ সহকারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
সংশ্লিষ্টরা বললেন, ২০২৩ সালের ২৫ জানুয়ারি থেকে ইউনিয়ন পর্যায়ে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রে স্বাভাবিক প্রসব সেবা (নরমাল ডেলিভারি) চালু হয়। বর্তমানে লতা, কপিলমুনির আগরঘাটা, লস্কর ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র ও দেবদুয়ার মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রে এ সেবা চালু আছে। উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, খুলনা বিভাগে সিজারিয়ানের হার ৬৬ শতাংশ। এর মধ্যে পাইকগাছা উপজেলায় সিজারিয়ানের হার আরো বেশি।
তিনি তথ্য দিয়ে আরোও বলেন, আগরঘাটা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রে এ পর্যন্ত ২১টি নরমাল ডেলিভারি করা হয়েছে। কিন্তু প্রয়োজনীয় সরঞ্জমাদি না থাকায় নরমাল ডেলিভারিতে ঝুঁকি থাকায় ৪৭ জন গর্ভবতী মাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রেফার করা হয়। এসমস্যা উত্তরণে পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তর, স্থানীয় উপজেলা প্রশাসন, উপজেলা ও ইউনিয়ন পরিষদে সহযোগিতার আশ্বাস দিলেও বাস্তবায়ন হয়নি।
এসমস্যা সমাধানে কপিলমুনি ইউনিয়নের বাসিন্দার সমাজ সেবক ও ব্যবসায়ী আ. মজিদ কপিলমুনি স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রে ক্যানুলাসেট, একটি অক্সিজেন সিলিন্ডার সহ গর্ভবতী মায়েদের চেক আপের জন্য একটি ফিটাল ডপলার প্রদান করায় আমাদের যথেষ্ট উৎসাহ যোগাবে। নরমাল ডেলিভারিতে আর কোন ঝুঁকি থাকবে না। উপজেলা বিভিন্ন কেন্দ্র থেকে এপর্যন্ত ৪৮টি স্বাভাবিক প্রসবসেবা প্রদান করা হয়।