৫ই মে ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ২২শে বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
স্বল্পমূল্যে চাল আটা পেয়ে খুশি দরিদ্র মানুষ
স্বল্পমূল্যে চাল আটা পেয়ে খুশি দরিদ্র মানুষ


মনিরুজ্জামান মনির : খোলা বাজার (ওএমএস) ও খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় যশোরের ৪ লাখ ৪০ হাজার মানুষ স্বল্পমূল্যে চাল ও আটা কিনতে পারছে। খোলা বাজারে লাইনে দাঁড়িয়ে ৩০ টাকা কেজি চাল ও ২৪ টাকা কেজি দরে আটা কিনছেন তিন লাখের বেশি মানুষ। আর খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় জেলার এক লাখ ৪০ হাজার ব্যক্তি ১৫ টাকা কেজি দরে প্রতি দু’মাসে একবার ৩০ কেজি চাল পাচ্ছে। তবে অতিরিক্ত চাপের কারণে ওএমএসের চাল কেনার সময় কিছুটা বিড়ম্বনায় পড়তে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে।
স্বামীহারা দুই সšত্মানের জননী রাশিদা ওএমএসের চালের জন্য ঝুমঝুমপুরে ডিলারের দোকানের সামনে আসেন ভোর ৪টায়। তখনও ফজরের আজান দেয়ার ঘণ্টা বাকি। এরই মধ্যে দেখেন বেশ কয়েকজন লাইনে আছেন। কেউ কেউ ইট ও প্যাকেট রেখে লাইনের জায়গা দখল করে আছেন। ডিলার দোকান খোলেন সকাল ৯টার পর। আর তিনি ৬ ঘণ্টা অপেড়্গার পর সকাল ১০ টায় চাল পান। তার ভাষায়, এ চালে আমার হবে না, কিন্তু বাড়িতে ছোট দুই বাচ্চা রেখে প্রতিদিন লাইনে এসে দাঁড়ানোও সম্ভব না। তাছাড়া এখানে কয়েকজন মহিলা দালাল আছে, যারা জায়গা ধরে বিক্রি করে। আর দালালদের কারণে আমাদের পেছনে পড়তে হয়।’
রাশিদার মত অনেকেই প্রয়োজনে বাজারের থলে হাতে দাঁড়াচ্ছেন ওএমএসের লাইনে। খাদ্য বিভাগের তথ্য মতে যশোর জেলায় ৪২ জন ডিলারের মাধ্যমে ৩০ টাকা দামে চাল এবং ২৪ টাকা দামে আটা বিক্রি হচ্ছে। প্রতিদিন বিক্রি হচ্ছে ৭৬ হাজার কেজি চাল ও আটা। সরকারি ছুটির দিন ছাড়া সপ্তাহে ৫ দিনেই বিতরণ হয়ে থাকে। যশোরে প্রতিদিন ১৫ হাজার ২০০ জন ৫ কেজি করে চাল অথবা আটা পাচ্ছেন। এ হিসাবে মাসে তিন লাখেরও বেশি মানুষ ওএমএসের সুবিধা পাচ্ছে। যশোর সদর ও পৌরসভায় ওএমএসের চাল বরাদ্দ ১১ হাজার কেজি এবং আটাও বরাদ্দ ১১ হাজার কেজি। এ চাল ও আটা ১৪ জন ডিলার বিতরণ করছেন। প্রতি ডিলার পাচ্ছেন ৭৮৫ কেজি চাল এবং ৭৮৫ কেজি আটা। সদর পৌরসভা বাদে অন্য উপজেলাতে ২৬ জন ডিলারের মাধ্যমে ২৫ হাজার কেজি চাল এবং ২৫ হাজার কেজি আটা বিক্রি করা হচ্ছে। শুধুমাত্র শার্শা উপজেলাতে ২ জন ডিলারের মাধ্যমে ২ হাজার কেজি চাল এবং ২ হাজার কেজি আটা বিক্রি হয়। এর বাইরে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় দরিদ্র অসহায় পরিবারের সদস্যরা কার্ডের মাধ্যমে ১৫ টাকা কেজি দরে প্রতি দুই মাসে ৩০ কেজি চাল পাচ্ছেন। জেলায় ৯৩টি ইউনিয়নে ২৬৪ জন ডিলারের মাধ্যমে ১লাখ ৩৫ হাজার ১৩২ জন ১৫ টাকা কেজি চাল পাচ্ছেন।
চাল নিতে আসা মনোয়ারা বেগম জানান, ‘চালের জন্য আমরা ফজরের আগে আসি। তারপরেও আগে সিরিয়াল পাই না। কয়েকজন মহিলা দালাল লাইনের প্রথমে ইট পেতে রাখে। যার কারণে আগে আসলেও লাইনের প্রথমে দাঁড়াতে পারি না। ৩ দিন এসে ফিরে গেছি।’
ভোক্তা সুফিয়া বেগম জানান, এই টোকেন অনেকের ভাগ্যে মেলে না। আর যারা টোকেন পায় তারা সবাই চাল পায়। আমার পরিবারের সদস্য সংখ্যা পাঁচজন। এ চালে অনেক সাশ্রয় হয়। গরিবের জন্য সরকার খুব ভালো কাজ করেছে।

সম্পাদক ও প্রকাশক : শাহীন চাকলাদার  |  ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক : আমিনুর রহমান মামুন।
১৩৬, গোহাটা রোড, লোহাপট্টি, যশোর।
ফোন : বার্তা বিভাগ : ০১৭১১-১৮২০২১, ০২৪৭৭৭৬৬৪২৭, ০১৭১২-৬১১৭০৭, বিজ্ঞাপন : ০১৭১১-১৮৬৫৪৩
Email : samajerkatha@gmail.com
পুরাতন খবর
FriSatSunMonTueWedThu
 12
3456789
10111213141516
17181920212223
24252627282930
31 
স্বত্ব © samajerkatha :- ২০২০-২০২২
crossmenu linkedin facebook pinterest youtube rss twitter instagram facebook-blank rss-blank linkedin-blank pinterest youtube twitter instagram