সমাজের কথা ডেস্ক : বৃষ্টির কারণে দুদফা ম্যাচ বন্ধ হওয়ায় পর কিউইদের বিপক্ষে ডার্কওয়ার্থ—লুইস—স্টার্ন পদ্ধতিতে ২১ রানে জিতেছে পাকিস্তান। আর এই জয়ে ১৯৯২ বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়নরা বিশ্বকাপে সেমিফাইনালের আশা এখনও বাঁচিয়ে রাখল।
শনিবার নিউজিল্যান্ডের দেওয়া ৪০২ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ফখর জামানের ঝড়ো সেঞ্চুরি তুলে নেন। এরপরই হানা দেয় বৃষ্টি। যদিও বৃষ্টি আইনে ১০ রানে এগিয়ে ছিল পাকিস্তান। যেখানে খেলা আর মাঠে না গড়ালে ওই ব্যবধানে জিতে যেত পাকিস্তান। কিন্তু বৃষ্টি থামলে, নতুন লক্ষ্য পায় তারা।
পাকিস্তানকে ৪১ ওভারে জিততে হলে করতে হতো ৩৪২ রান। যেখানে বৃষ্টি আসার আগে ২১.৩ ওভারে ১ উইকেট হারিয়ে পাকিস্তানের সংগ্রহ ছিল ১৬০ রান। ফলে জয় পেতে ১৯.৩ ওভারে পাকিস্তানের প্রয়োজন আর ১৮২ রান।
আরও পড়তে পারেন : বিশ্বকাপে আফগানিস্তানের চতুর্থ জয়
কিন্তু ফের হানা দেয় বৃষ্টি। এবার ২৫.৩ ওভারে পাকিস্তান এক উইকেট হারিয়ে ২০০ রান করার পর বৃষ্টি আসে। এ সময় পাকিস্তান এগিয়ে ছিল ২১ রানে। আম্পায়াররা বৃষ্টির মাত্রা বাড়লে খেলা শেষ করতে বাধ্য হন। পাকিস্তানও ম্যাচ জিতে যায় ২১ রানে। ফখর জামান ৮১ বলে ৮টি চার ও ১১টি ছক্কায় ১২৬ এবং বাবর আজম ৬৩ বলে ৬টি চার ও ২টি ছক্কায় ৬৬ রানে অপরাজিত থাকেন। এ দুজন দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে ১৪১ বলে ১৯৪ রানের পার্টনারশিপ গড়েন।
এর আগে প্রথমে ব্যাট করা নিউজিল্যান্ড নির্ধারিত ৫০ ওভার শেষে ৬ উইকেট হারিয়ে ৪০১ রানের পাহাড়সম স্কোর গড়ে।
এটি বিশ্বকাপে নিউজিল্যান্ডের সর্বোচ্চ স্কোর। আর সব মিলিয়ে দ্বিতীয়। এর আগে ২০০৮ সালে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ৪০২ রান তুলেছিল কিউইরা। সব মিলিয়ে এটি পাকিস্তানের বিপক্ষে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ স্কোর। এর আগে ২০১৯ সালে ইংল্যান্ড পাকিস্তানের বিপক্ষে তুলেছিল ৩ উইকেট ৪৪৪ রান। তবে পাকিস্তানের বিপক্ষে এটি বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ স্কোর।
ইংল্যান্ডকে হারিয়ে বিশ্বকাপটা দারুণভাবে শুরু করেছিল নিউজিল্যান্ড। প্রথম চারটি ম্যাচেই তারা জয়ের মুখ দেখেছে। এরপরই শুরু হয় পতন। এ নিয়ে গতবারের রানার্স আপরা শেষ ৪ টি ম্যাচে টানা হার দেখল।
নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে আজকে হারলে দ্বিতীয় দল হিসেবে এবারের সেমিফাইনাল থেকে বাদ পড়ার শঙ্কায় ছিল পাকিস্তান। পাকিস্তান টানা চার ম্যাচ হেরে বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে খেলা কঠিন করে ফেলেছে। তবে বাঁচা—মরার ম্যাচে ঠিকই জিতে নিলো পাকিস্তান।