মোরেলগঞ্জ প্রতিনিধি : বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে একটি বসতঘরসহ ঘরের যাবতীয় মালামাল লুটের ঘটনা ঘটেছে। গত বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে উপজেলার নিশানবাড়িয়া ইউনিয়নের গুলিশাখালী গ্রামের রহিম হাওলাদারের বসত ঘর, রান্নাঘর ও ঘরের সকল মালামাল ২য় দফায় লুটপাট করে নিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা।
এর আগে ১৬ জানুয়ারি (মঙ্গলবার) প্রথম দফায় ওই বাড়িতে লুটপাটের ঘটনা ঘটে। দুই দফায় বসতঘরসহ সকল মালামাল লুটে নেওয়ার ঘটনায় থানায় অভিযোগ দিয়েও ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারটি কোন প্রতিকার পায়নি।
২য় দফার লুটপাটের ঘটনার পরে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় মোরেলগঞ্জ প্রেস ক্লাবে সাংবাদিক সম্মেলন করেন সামছুনন্নাহার বেগম ও তার ছেলে রহিম হাওলাদার। থানা পুলিশ ওই সাংবাদিক সম্মেলনের খবর জানতে পেরে রাতেই রহিম হাওলাদারের পূর্বে দায়ের করা অভিযোগটি এজাহার হিসেবে গ্রহণ করে। যার মামলা নং—২১।
তারিখ—১৮.১.২০২৪। মামলা রেকর্ড হওয়ার পর গতকাল শুক্রবার বিকেল ৪টা পর্যন্ত পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যায়নি। লুট হওয়া কোন মালামাল উদ্ধার করতে পারেনি। কোন আসামিও আটক হয়নি।
জানা গেছে, রহিম হাওলাদারের বসতবাড়িটি ভাংচুর লুটপাট হতে পারে এমন আশংকায় গেল বছরের ১৩ ডিসেম্বর জেলা পুলিশ সুপারের নিকট লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন তার মা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান সামছুন্নাহার বেগম। এর পরে গত ১৬ জানুয়ারি তার বাড়িটি ভাংচুর করে বসতঘরসহ মালামাল নিয়ে যায় প্রতিপক্ষের লোকেরা।
ওইদিন প্রতিবেশি বাদশা তালুকদারসহ ৫ জনের নামে থানায় লিখিত অভিযোগ করেন সামছুন্নাহারের ছেলে রহিম হাওলাদার। থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করলেও মামলা রেকর্ড করেনি।
গত বৃহস্পতিবার বাড়িটির মধ্যে থাকা একটি রান্নাঘরও ভেঙ্গে নিয়ে গেলে আবার থানায় হাজির হয়ে পুলিশের সহযোগিতা চান রহিম হাওলাদার। পুলিশ ২য় দফায় ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। কিন্তু মামলা রেকর্ড করেনি। নিরুপায় হয়ে রহিম হাওলাদার ও তার মা ওইদিন (বৃহস্পতিবার) সন্ধ্যায় মোরেলগঞ্জ প্রেস ক্লাবে সাংবাদিক সম্মেলন করেন। থানা পুলিশ ওই সাংবাদিক সম্মেলনের খবর জানতে পেরে রাতেই রহিম হাওলাদারের অভিযোগটি এজাহার হিসেবে গ্রহণ করে।
এ বিষয়ে থানার ওসি মোহাম্মদ শামসুদ্দিন বলেন, বিষয়টি মীমাংসার চেষ্টা করা হয়েছিল। পরে মামলা রেকর্ড করা হয়েছে। আসামিদের আটকের চেষ্টা চলছে।