চৌগাছা প্রতিনিধি: যশোর জেলা পরিষদের অফিস সহায়ক সরোয়ার উদ্দিনের বিরুদ্ধে সরকারি রাস্তার লক্ষাধিক টাকা মূল্যের রেইনট্রি চুরি করে বিক্রি এবং একজনের কাছ থেকে ৪ হাজার ৭০০ টাকা চাঁদাবাজির অভিযোগ করা হয়েছে। লিখিত অভিযোগে টাকা ফেরত দেয় এবং সরকারি গাছ বিক্রির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার দাবি করা হয়েছে। মঙ্গলবার চৌগাছা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন উপজেলার নারায়ণপুর ইউনিয়নের বুন্দেলীতলা গ্রামের ফরজ আলী নামে এক চায়ের দোকানি। একই অভিযোগ যশোরের জেলা প্রশাসক এবং যশোর জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার কাছেও জমা দিয়েছেন তিনি।
লিখিত অভিযোগে ফজর আলী বলেন, আমার বাড়ি বুন্দেলীতলা গ্রামে। চৌগাছা—মহেশপুর সড়কে আমার বাড়ির সামনে একটি বড় রেইনট্রি ছিল। যার দাম আনুমানিক এক লাখ টাকা। গাছটির জন্যে আমার বসতবাড়ির ক্ষতি হচ্ছিলো। এ অবস্থায় আমি গাছটি কেটে নিতে জেলা পরিষদের কর্মচারী (অফিস সহায়ক ও কর্মচারী সমিতির নেতা এবং চৌগাছার স্বরুপদাহ গ্রামের বাসিন্দা) সরোয়ার উদ্দিনের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি আমার কাছে ১০ হাজার টাকা দাবি করেন। পরে অনেক দেন দরবারের পর তাকে ৪ হাজার ৭০০ টাকা দিই। এরপর গত ১২ নভেম্বর রোববার স্বরুপদাহ গ্রামের হাশেম আলীর ছেলে হাসান এবং মোশারেফের ছেলে শাহা আলম গাছটি আমার বাড়ির সামনে থেকে কেটে নিয়ে যায়।
গাছটি সরকারি গাছ। তবে এই গাছটি সরিয়ে নিতে টাকা লাগে বিষয়টি আমি জানতাম না। সরোয়ার আমাকে মিথ্যা হুমকি—ধামকি দিয়ে ৪ হাজার ৭০০ টাকা নিয়েছে এবং সরকারি গাছ অবৈধভাবে বিক্রি করে দিয়েছে। আমি আমার টাকা ফেরত পাওয়ার ব্যবস্থা এবং সরকারি গাছ অবৈধভাবে বিক্রি করে দেয়ার বিচার আশা করি।
উল্লেখ্য, সরোয়ারের গ্রামের লোকজনসহ স্বরুপদাহ, নারায়ণপুর ও সুখপুকুরিয়া ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামের অনেকেই জানিয়েছেন, সরোয়ার বিভিন্ন সময়ে চৌগাছা বাজারসহ বিভিন্ন রাস্তার বিশেষ করে চৌগাছার কপোতাক্ষ পাড়ের ৩ ইউনিয়নের রাস্তার সরকারি গাছ একটি সিন্ডিকেটের মাধ্যমে জেলা পরিষদের দোহাই দিয়ে চুরি করে বিক্রি করে দেয়। এক্ষেত্রে গাছে যে সকল লোকের অসুবিধা হয় তাদের কাছ থেকে ৫/১০ হাজার টাকা নেয়। এরপর কাঠ ব্যবসায়ী হাসান এবং শাহাআলম গাছটি কেটে নিয়ে বিক্রি করে দেয়।
এসব বিষয়ে বক্তব্য নিতে সরোয়ার উদ্দিনের ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করলে তা বন্ধ পাওয়া যায়।
চৌগাছা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইরুফা সুলতানা বলেন, লিখিত অভিযোগ পাওয়াগেছে। এ বিষয়ে অভিযুক্তদের ডেকে তদন্ত করা হবে। তদন্তে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেলে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ও আইনি ব্যবস্থার সুপারিশ করা হবে।