নিজস্ব প্রতিবেদক : সবজির দর নিয়ন্ত্রণে বাজার মনিটরিংয়ের নির্দেশ দিয়েছেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবরাউল হাছান মজুমদার। রোববার সকালে যশোর কালেক্টারেট সভা কক্ষে জেলা উন্নয়ন সমন্বয় কমিটির নভেম্বর মাসের মাসিক সভায় তিনি এ নির্দেশ দেন। তিনি বলেন, সবজি উৎপাদনের মূল ক্ষেত্র যশোর। এ জেলার সবজি দেশের বিভিন্ন স্থানে যায়। অথচ এখানকার সবজির দাম নিয়ন্ত্রণে থাকছে না। এ বিষয়ে বাজার নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তাদের কার্যকর মনিটারিং করতে হবে।
সভায় জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবরাউল হাছান মজুমদারের সভাপতিত্বে ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক এস এম শাহীন সভা পরিচালনা করেন। সভায় জেলা প্রশাসক আরও বলেন, যশোর জেলায় মোট ৯টি মডেল মসজিদ হওয়ার কথা থাকলেও একটি মডেল মসজিদ হয়েছে। বাকিগুলোর কাজ এখনও শুরু না হওয়ায় জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবরাউল হাছান মজুমদার হতাশা প্রকাশ করেন। বিষয়টি তিনি িনেজে তত্বাবধান করবেন বলে জানান।
জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান বলেন, জেলার আট উপজেলায় ঝুঁকিপূর্ণ গাছ চিহ্নিত করা হয়েছে এবং চলতি সপ্তাহে এ কাজের টেন্ডার দেওয়া হবে।
যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডাক্তার হারুন আর রশীদ বলেন, ডেঙ্গুর বিষয়ে ভালো কোনো খবর নেই। আজও হাসপাতালে ৫১ জন রোগী ভর্তি আছে। এটা নিয়ন্ত্রণের জন্য সকলের সহযোগিতা চান। এছাড়াও শহরের এখন ডেঙ্গু আক্রান্ত কম হলেও গ্রামে বৃদ্ধি পেয়েছে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর যশোরের প্রশিক্ষণ অফিসার সুশান্ত কুমার তরফদার বলেন, গত তিন মাসে ১৫০ কোটি টাকার সবজি বিক্রি হয়েছে। এটা সম্ভাব হয়েছে পদ্মা সেতু হওয়ার ফলে। এছাড়াও বিগত বছর যশোরে তেল উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য সরিষা চাষ দিগুণ হয়েছে। এ বছরও তেল জাতীয় ফসল উৎপাদন আরও বৃদ্ধি পাবে। এছাড়াও অন্য বছরের তুলনায় ধান ও সবজির উৎপাদন বৃদ্ধি পেয়েছে।
সভায় এ বিষয়গুলো ছাড়াও ভৈরব নদীর ছোট ছোট ব্রিজ অপসারণ করার সিদ্ধান্ত হয়। এ ছাড়াও ভৈরব নদের পাড়ে অবৈধ স্থাপনা ও নদের পাড়ের স্থাপনা থেকে ময়লা—আবর্জনা আসায় ঐ সব প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলা হয়।
সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন, স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক রফিকুল হাসান, পৌরসভার মেয়র মুক্তিযোদ্ধা হায়দার গণি খান পলাশ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নূর—ই—আলম সিদ্দিকী, সিভিল সার্জন যশোরের মেডিকেল অফিসার ডাক্তার রেহনেওয়াজ প্রমুখ।