সমাজের কথা ডেস্ক : গত অর্থবছরে রেলওয়েতে আয়ের চেয়ে ১ হাজার ৫২৪ কোটি টাকা ব্যয় বেশি হয়েছে বলে জানিয়েছেন রেলপথমন্ত্রী জিল্লুল হাকিম। তবে সরকারের নীতি অনুযায়ী রেলওয়েকে সেবাখাত হিসেবে বিবেচনা করা হয় বলেও জানান তিনি।
আজ বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদের অধিবেশনে ঢাকা—১৯ আসনের স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য মুহাম্মদ সাইফুল ইসলামের করা প্রশ্নের লিখিত উত্তরে এ তথ্য জানান জিল্লুল হাকিম। সংসদ অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।
<<আরও পড়তে পারেন>> বিপুল পরিমাণ মাছ লুটে নিচ্ছে ভারত ও শ্রীলঙ্কা
রেলপথমন্ত্রী বলেন, ২০২২—২০২৩ অর্থ বছরের রেলওয়ের ব্যয় ছিল ৩ হাজার ৩০৭ কোটি টাকা, পক্ষান্তরে রেলওয়ের আয় ছিল ১ হাজার ৭৮৩ কোটি টাকা। আয়ের তুলনায় ১ হাজার ৫২৪ কোটি টাকা ব্যয় বেশি হয়েছে। এ ব্যয়ের মধ্যে বাংলাদেশ রেলওয়ের অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা—কর্মচারীদের বেতন—ভাতা, পেনশন ইত্যাদি অন্তর্ভুক্ত ছিল।
তিনি বলেন, এ ছাড়া রেলওয়ে পুলিশ, রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনী, স্কুল, হাসপাতালের মাধ্যমেও দেশের জনগণ সামাজিক ও নিরাপত্তামূলক সেবা পেয়ে আসছে, যার ব্যয় রেলওয়ে থেকে নির্বাহ করা হয়। এতে রেলওয়ের ব্যয় বৃদ্ধি পাচ্ছে। মূলত স্বল্প খরচে জনগণকে সেবা দেওয়ার সরকারি নীতির কারণে ভাড়া বৃদ্ধিপূর্বক আয়—ব্যয়ের সমন্বয় করা হচ্ছে না।
রেলমন্ত্রী বলেন, সরকারের পলিসি অনুযায়ী বাংলাদেশ রেলওয়েকে বাণিজ্যিক তথা লাভজনক/অলাভজনক প্রতিষ্ঠান হিসেবে নয়, সেবাদানকারী সংস্থা হিসেবেই বিবেচনা করা হয়ে থাকে।