সমাজের কথা ডেস্ক : আজ বিশ্বকাপে মুখোমুখি হয়েছিল এশিয়ার দুই দেশ বাংলাদেশ—শ্রীলংকা। এক দলের কাছে ছিল মরণবাঁচন, আর এক দলের কাছে নিয়মরক্ষার। আপাত গুরুত্বহীন এই ম্যাচের দিকে চোখ রাখেননি অনেকেই।
কিন্তু সেই ম্যাচেই জড়িয়ে ছিল অনেক কিছু। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ‘টাইম্ড আউট’ নামে নিয়মে অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুজ এবং শাকিব আল হাসানের লড়াই উপভোগ্য হয়ে উঠল। শেষে শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে দিল বাংলাদেশ। শ্রীলঙ্কার সংগ্রহ ২৭০ রান বাংলাদেশ তুলে দিল তিন উইকেট বাকি থাকতেই।
প্রথম ইনিংসে শ্রীলংকার ব্যাটার অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউসে ইতিহাসের প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে ‘টাইমড আউট’ হন। দ্বিতীয় ইনিংসে শ্রীলংকার ২৮০ রানের লক্ষ্যে সাকিব আল হাসান ও নাজমুল হোসেন শান্তর ব্যাটে বাংলাদেশের যখন হেসেখেলে জয় পাওয়ার কথা তখনই বাংলাদেশ চাপে পড়ে ৫৯ রানের মধ্যে ৫ উইকেট হারিয়ে।
আফগানিস্তানকে টুর্নামেন্টের প্রথম ম্যাচে হারিয়েছিল টাইগাররা। এরপর টানা ছয় ম্যাচ হারার পর দেখা মিললো জয়। এর ফলে পয়েন্ট তালিকাতে সমান পয়েন্ট থাকলেও রান রেটে বাংলাদেশ লংকানদের পেছনে ফেলল। ৮ ম্যাচ শেষ করা দুই দলেরই পয়েন্ট ৪।
বাংলাদেশের রানরেট —১.১৪২ আর শ্রীলংকার —১.১৬০। পয়েন্ট টেবিলে বাংলাদেশের অবস্থান ৭, আর শ্রীলংকার ৮। বাংলাদেশ এই স্থানে উঠে আসল নয় নম্বর থেকে। শ্রীলংকা ছাড়াও নেদারল্যান্ডসকে পেছনে ফেলল টাইগাররা।
শ্রীলংকার দেওয়া ২৮০ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে দলীয় ৭ ওভারের মধ্যেই হারিয়ে বসে বসেছিল দুই ওপেনার তানজিদ হাসান তামিম ও লিটন দাসকে। নাজমুল হোসেন শান্ত ও অধিনায়ক সাকিব আল হাসান তৃতীয় উইকেটে দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়ান।
৪১ রান থেকে দলকে নিয়ে যান ২১১ রান পর্যন্ত এই রানে সাকিবকে ফিরিয়ে জুটি ভাঙেন অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউস। দলের সঙ্গে আর ১ রান যোগ হতে এই ম্যাথিউসের শিকার হয়েই ফেরেন শান্ত। এরপর দলকে এগিয়ে নিতে থাকেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও মুশফিকুর রহিম।
তবে নাটকীয় পরিস্থিতি শুরু হয় ২৪৯ রানে মুশফিক ও ২৫৫ রানে মাহমুদউল্লাহ ফিরলে। এরপর ২৬৯ রানের মাথায় মিরাজ ফিরলেও দলকে জিতিয়েই মাঠ ছাড়েন তাওহীদ হৃদয়। ৭ বলে ১৫ রানে অপরাজিত ছিলেন তিনি।
এর আগে, নির্ধারিত ৫০ ওভারের ৩ বল বাকি থাকতে বাংলাদেশের বিপক্ষে অলআউট হলেও ২৭৯ রানের লড়াকু পুঁজি গড়ে লংকানরা।