নিজস্ব প্রতিবেদক : যশোরে শ্রীরামকৃষ্ণদেবের ১৮৯তম জন্মতিথি ও বার্ষিক উৎসবের দ্বিতীয় দিন বুধবার ‘শ্রীমা সারদাদেবীর জীবন ও আদর্শ’ শীর্ষক আলোচনাসভা হয়েছে। বৈশ্বিক মানবিকতার কর্মযজ্ঞে নিবেদিত থাকতে এবং সকল ধর্মের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থেকে মানবসেবা ও মানবিক উন্নয়নের আহ্বান জানানোর মধ্যে দিয়ে যশোর রামকৃষ্ণ আশ্রম ও রামকৃষ্ণ মিশনের আয়োজনে মঙ্গলবার তিন দিনব্যাপী এ উৎসব শুরু হয়।
উৎসবের দ্বিতীয় দিন সম্মানিত অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবরাউল হাছান মজুমদার ও পুলিশ সুপার প্রলয় কুমার জোয়ারদার। সভাপতিত্ব করেন যশোর রামকৃষ্ণ আশ্রম ও রামকৃষ্ণ মিশনের অধ্যক্ষ স্বামী জ্ঞানপ্রকাশানন্দ। অতিথি ছিলেন কোলকাতার মাসিক উদ্বোধন পত্রিকার সম্পাদক স্বামী কৃষ্ণনাথানন্দ মহারাজ। স্বাগত বক্তব্য দেন যশোর রামকৃষ্ণ আশ্রম ও রামকৃষ্ণ মিশনের সহ—সম্পাদক স্বামী আত্মবিভানন্দ। মুখ্য আলোচক ছিলেন নড়াইল মনোরঞ্জন কাপুড়িয়া কলেজের অধ্যক্ষ ডক্টর তাপসী কাপুড়িয়া। স্বাগত বক্তব্য দেন যশোর সরকারি মহিলা কলেজের ইংরেজি বিভাগের প্রভাষক দীপ্তি মিত্র। ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন সারদা সংঘ যশোরের সভাপতি লিলি ঘোষ। সঞ্চালনা করেন অনুসূয়া ঘোষ দোলন।
আলোচকবৃন্দ বলেন, ইতিহাসে আমরা দেখি, যুগে যুগে মহৎ মানুষেরা সমগ্র মানবজাতিকে আত্মীয় জ্ঞান করার কথা বলেছেন ও নিজেদের জীবনে তার উদাহরণ রেখেছেন। কিন্তু সম্ভবত মা সারদাই প্রথম নজির, যেখানে শুধুমাত্র মানবজাতিই নয়, সমস্ত প্রাণীজগৎকে আত্মীয়বন্ধনে বাঁধবার ধারণা প্রকাশিত। সারদাদেবী নিজেকে আক্ষরিক অর্থেই জগজ্জননীর দায়িত্ব অর্পণ করেছিলেন— যে জগতে মানুষ ছাড়াও রয়েছে আরো অনেকে। তাঁর এই অসীম সাহস ও ঔদায্যের্র বলেই বলীয়ান হয়ে রামকৃষ্ণ সঙ্ঘের তরুণ সন্ন্যাসীরা সেই প্রথম দিনগুলিতে পথের দিশা পেতেন।
আলোচকবৃন্দ বৈশ্বিক মানবিকতার কর্মযজ্ঞে নিবেদিত থাকতে এবং সকল ধর্মের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থেকে মানবসেবা ও মানবিক উন্নয়নের আহ্বান জানান।
আলোচনার আগে অস্থায়ী এ উৎসব মঞ্চে অনুষ্ঠিত হয় ‘রামায়ণ গান’। এছাড়া শ্রীমদ্ভাগবত আলোচনা করেন যশোর রামকৃষ্ণ আশ্রম ও রামকৃষ্ণ মিশনের সহ সম্পাদক স্বামী আত্মবিভানন্দ। শেষে স্থানীয় শিল্পীদের পরিবেশনা ছাড়াও যন্ত্রসংগীত পরিবেশন করেন প্রিয়াঙ্কা মজুমদার।
উৎসবের সমাপনী দিন আগামীকাল বৃহস্পতিবার শিশুদের পরিবেশনায় বিচিত্রানুষ্ঠান, ‘স্বামী বিবেকানন্দের জীবন ও আদর্শ’ শীর্ষক আলোচনা এবং সংগীতানুষ্ঠান হবে।