সমাজের কথা ডেস্ক : দেশের বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এন্ট্রিলেভেলের শিক্ষক নিয়োগের দায়িত্ব বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষকে (এনটিআরসিএ) দিয়ে ও নিয়োগের অনুসরণীয় পদ্ধতি নির্ধারণ করে ২০১৫ সালের ৩০ ডিসেম্বর জারি করা পরিপত্র সংশোধনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় এ পরিপত্র সংশোধনে আগামী ২১ নভেম্বর সভা আহ্বান করেছে। ওই দিন দুপুরে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব সোলেমান খানের সভাপতিত্বে এ সভা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।
১২ নভেম্বর এ সভা আহ্বান করে জারি করা নোটিশ প্রকাশ করেছে মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ।
ওই দিনের সভায় অংশ নিতে আহ্বান করা হয়েছে কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগের সিনিয়র সচিব, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের দুইজন অতিরিক্ত সচিব, এনটিআরসিএর চেয়ারম্যান, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর এবং মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, ঢাকা বোর্ড, মাদরাসা শিক্ষা বোর্ড ও কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান এবং ঢাকা অঞ্চলের উপপরিচালককে।
২০১৫ সালের ৩০ ডিসেম্বর জারি করা ওই পরিপত্রে বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এন্ট্রিলেভেলের শিক্ষক নিয়োগে প্রার্থী বাছাইয়ের দায়িত্ব দেয়া হয়েছিলো এনটিআরসিএকে। সেখানে শিক্ষক নিয়োগের অনুসরণীয় পদ্ধতিও নির্ধারণ করা হয়।
পরিপত্র অনুসারে প্রতি বছর বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে শিক্ষক নিয়োগযোগ্য পদে চাহিদা উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসে জমা দেয়ার কথা বলা হয়। যা জেলা শিক্ষা অফিসের মাধ্যমে এনটিআরসিএতে পাঠানোর নির্দেশনা ছিলো প্রতি বছর ৩০ নভেম্বরের মধ্যে।
এনটিআরসিএকে প্রতিবছর প্রার্থী বাছাইয়ের পরীক্ষা (নিবন্ধন পরীক্ষা) গ্রহণ করে জাতীয়, বিভাগ, জেলা, উপজেলা ও থানাওয়ারী মেধাক্রম প্রণয়ন করে ফল ঘোষণার নির্দেশনা দেয়া হয়েছিলো।
এনটিআরসিএর ওই পরিপত্রে উল্লেখ ছিলো, কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নিয়োগের জন্য প্রার্থী নির্বাচনের সময় উপজেলা মেধাতালিকায় অগ্রাধিকার পাবে। উপজেলায় যোগ্য প্রার্থী পাওয়া না গেলে জেলা মেধাতালিকা ও তাও না পাওয়া গেলে বিভাগীয় মেধাতালিকা ও সর্বশেষ জাতীয় মেধাতালিকা অনুসরণের নির্দেশনা ছিলো এনটিআরসিএর ওই পরিপত্রে।