সমাজের কথা ডেস্ক : আসন্ন পবিত্র রমজানেও ইসরায়েলি আক্রমণ চলবে কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, রমজানে সব ধরনের তৎপরতা বন্ধে তৈরি আছে ইসরায়েল যদি যুদ্ধবিরতির শর্ত অনুযায়ী হামাসের হাতে থাকা জিম্মিদের মুক্তি দেওয়া হয়। খবর এপি।
গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় নির্বিচার হামলা শুরু করেছে ইসরায়েল। আসন্ন রমজানের আগেই চলমান যুদ্ধের পাঁচ মাস পূর্ণ হবে। এ পরিস্থিতিতে ইসরায়েল ও হামাস উভয়পক্ষই যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনা করছে। চলতি সপ্তাহে এ নিয়ে ইতিবাচক সম্ভাবনাও দেখা দিয়েছে। দুই পক্ষই সমঝোতার শর্ত নিয়ে পর্যালোচনা করছে।
<<আরও পড়তে পারেন>> ইসরায়েলের হামলায় গাজায় ১০১ সাংবাদিক নিহত
খবরে বলা হয়, চলতি সপ্তাহের শুরুর দিকে ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসে হামাস—ইসরায়েলের প্রতিনিধিরা যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনায় বসেন। সেখানে উভয়পক্ষই নিজ নিজ শর্ত আরোপ করে। ওই সমঝোতার সঙ্গে যুক্ত একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ৪০ দিনের যুদ্ধবিরতির শর্তে বলা হয়— গাজার হাসপাতাল ও বেকারিগুলো পুনর্গঠন করতে
দেবে ইসরায়েল। প্রতিদিন ত্রাণবাহী ৫০০ ট্রাক প্রবেশের অনুমতি দিতে হবে। অন্যদিকে ইসরায়েল জানিয়েছে— হামাসের হাতে জিম্মিদের মধ্যে নারী, ১৯ বছরের কম বয়সী কিশোর—কিশোরী, বয়স পঞ্চাশের বেশি— এমন ব্যক্তি এবং অসুস্থসহ ৪০ জন জিম্মিকে মুক্তি দিতে হবে। ৪০ দিনের এই যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবটি খতিয়ে দেখছে হামাস।
রমজানে ইসরায়েল হামলা বন্ধ রাখবে কিনা এমন ইস্যুতে গত সোমবার বাইডেন বলেন, ‘রমজান আসছে। রমজানে ইসরায়েল কোনো কার্যক্রম চালাবে না এ ব্যাপারে তারা তৈরি আছে। একই সঙ্গে জিম্মিদের ছাড়িয়ে আনার সুযোগ তৈরির জন্যও তারা হামলা বন্ধ রাখবে।’ এদিকে যুদ্ধবিরতির আলোচনার সঙ্গে যুক্ত অপর একটি সূত্র জানিয়েছে, ইসরায়েল বলছে— যুদ্ধবিরতি হলেও তারা গাজার দক্ষিণাঞ্চলে রাফায় হামলা অব্যাহত রাখবে। তবে হামাস বলছে, যুদ্ধ এখনই শেষ হোক।
উল্লেখ্য, ৭ অক্টোবর গাজা উপত্যকার নিয়ন্ত্রণকারী গোষ্ঠী হামাসের যোদ্ধারা গাজার উত্তরাঞ্চলীয় ইরেজ সীমান্তে অতর্কিত হামলা চালিয়ে ১ হাজার ২০০ জন মানুষকে হত্যার পাশাপাশি ২৪০ জন ইসরায়েলি ও বিদেশি নাগরিককে জিম্মি করে নিয়ে যায়। ওই আক্রমণের জেরে সেদিন থেকেই গাজায় নির্বিচার হামলা শুরু করে ইসরায়েল। চার মাসেরও বেশি সময় ধরে চলমান এই যুদ্ধে এখন পর্যন্ত গাজায় নিহত হয়েছেন ২৯ হাজারেরও বেশি মানুষ, আহতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৭০ হাজার। এ ছাড়া ইসরায়েলি বাহিনীর গোলায় বাড়িঘর হারিয়ে সর্বস্বান্ত হয়েছেন আরও লাখ লাখ ফিলিস্তিনি।