# সমাজের কথায় সংবাদ প্রকাশের পর স্বাস্থ্যবিভাগের তড়িৎ পদক্ষেপ
নিজস্ব প্রতিবেদক : যশোরে নবজাতক শিশুদের বিসিজি ও পেনটা টিকা সংকটের খবর দৈনিক সমাজের কথায় প্রকাশের পর তড়িৎ পদক্ষেপ নিয়েছে স্বাস্থ্যবিভাগ। খবর প্রকাশের একদিন পরেই বিশেষ ব্যবস্থাপনায় জরুরি টিকা সরবরাহ পেয়েছে যশোর। টিকা প্রাপ্তির পরপরই কেন্দ্রগুলোতে পেঁৗছে দিয়েছে সিভিল সার্জন অফিস।
যশোরে ১৫দিন ধরে বিসিজি ও পেনটা টিকা সংকট চলছিল। গত ১৩ ফেব্রুয়ারি দৈনিক সমাজের কথায় এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। সংবাদটি খুলনা বিভাগীয় পরিচালক ও জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের দৃষ্টিগোচর হলে। টিকাসরবরাহে তড়িৎ পদক্ষেপ গ্রহণ করে।
সিভিল সার্জন ডাক্তার বিপ্লব কান্তি বিশ্বাসের বিশেষ চেষ্টায় বুধবার ভোরে টিকা পেঁৗছায় যশোরে।
<<আরও পড়তে পারেন>> যশোরে দু’সপ্তাহ ধরে নেই নবজাতকের দুটি টিকা
ঢাকা স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচি (ইপিআই)স্টোর থেকে সরকারি টিকাবাহী ট্রাক রাতেই যশোরের উদ্দেশে রওনা হয়। সকালে সিভিল সার্জনের কার্যালয়ে টিকাগুলো আনলোড করে। পরে টিকাগুলো যশোর জেলার ১০টি স্থায়ী ও ২ হাজার ২৫৬টি অস্থায়ী টিকাকেন্দ্রে প্রেরণ করা হয়।
গত ২৭জানুয়ারি থেকে যশোর জেলায় স্থায়ী ও অস্থায়ী টিকাকেন্দ্রে বিসিজি ও পেনটা টিকার সংকট যাচ্ছিল। ফলে শিশুদের টিকা দিতে না পারায় অভিভাবকরা দুশ্চিন্তায় ছিলেন।
যশোর জেনারেল হাসপাতালের টিকাদান কেন্দ্রের ইনচার্জ নূরুল হক বলেন, বুধবার সকালে সিভিল সার্জন অফিস থেকে বিসিজি ও পেনটা টিকা সরবরাহ করেছে। প্রথম দিনেই ৬২ নবজাতককে টিকার সবকয়টি ডোজ দেওয়া হয়েছে।
জেলা সিভিল সার্জন ডাক্তার বিপ্লব কান্তি বিশ্বাস বলেন, টিকার জন্য আগে থেকে অধিদপ্তরের সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচি (ইপিআই) স্টোরে যোগাযোগ করা হচ্ছিল। কিন্তু বিসিজি ও পেনটা টিকার সরবরাহ পাওয়া যায়নি। পরে পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ হলে বিষয়টি খুলনা বিভাগীয় অফিসকে বিশেষভাবে অবহিত করা হয়।
বিভাগীয় অফিস ও জেলা অফিস থেকে ঢাকার ইপিআই কর্মকর্তাদের সাথে যোগাযোগ করলে তারা টিকা সরবরাহে আন্তরিক হয়। বুধবার ভোর সাড়ে ৩টার দিকে বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার একটি পরিবহন টিকা নিয়ে যশোরে পেঁৗছায়। টিকাগুলো স্টোর করে সকাল ৯টার আগে সকল টিকাকেন্দ্রে প্রেরণ করা হয়। এখন জেলার সবখানে টিকা কার্যক্রম স্বাভাবিক হয়েছে।