সাইফুল ইসলাম : এইচএসসি পরীক্ষায় যশোর জেলায় ছেলেদের চেয়ে মেয়েদের পাশের হার বেশি বেশি। এ বছর জেলায় ১১৪টি প্রতিষ্ঠানের ১৯ হাজার ১১জন পরীক্ষার্থী অংশ নিয়েছিল।
এর মধ্যে ছেলে শিক্ষার্থী ছিলো ৯ হাজার ৪৪৮জন ও মেয়ে ৯ হাজার ৫৬৩ জন। আর পাশ করেছে ১৪ হাজার ৩শ ১২ জন। এর মধ্যে ছেলে পাশ করেছে ৬ হাজার ৭৩৫ জন, ছেলেদের পাশের হার ৭০ শতাংশ ও মেয়ে পাশ করেছে ৭ হাজার ৫৭৭জন, পাশের হার ৭৯ শতাংশ।
এদিকে যশোর সরকারি মাইকেল মধুসূদন কলেজ থেকে অংশগ্রহণ করে ৬৯৪ পরীক্ষার্থী । এর মধ্যে পাস করেছে ৬৮৭ জন শিক্ষার্থী। পাশের হার ৯৯ শতাংশ আর জিপিএ—৫ পেয়েছে ৪০৬ জন শিক্ষার্থী। মানবিক বিভাগ থেকে ১৭৪ জন অংশ নিয়ে জিপিএ—৫ পেয়েছেন ১০৩ জন, ব্যবসায় শাখা থেকে ১৬৬ জন অংশ নিয়ে জিপিএ—৫ পেয়েছে ৩২ জন এবং বিজ্ঞান শাখা থেকে ৩৫৫ জন অংশ নিয়ে জিপিএ—৫ পেয়েছে ২৭৯ জন।
কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মর্জিনা আক্তার বলেন, এ বছর পূর্ণ নম্বরের এইচএসসি পরীক্ষা হয়েছে দেড় বছরে। তারপরও কলেজের শিক্ষকদের পর্যবেক্ষণ ও শিক্ষার্থীদের প্রচেষ্টায় ভালো ফলাফল করেছে। এ ফলাফলে কলেজের সবাই খুশি।
বিজ্ঞান শাখা থেকে এইচএসসি পাশ শ্রীবন্তী বারৌ স্মৃতি জানায়, সৃষ্টিকর্তার রহমত ও কষ্টের বিনিময়ে এ ফলাফল। এরপর কলেজের শিক্ষকদের ও বাবা—মায়ের প্রচেষ্টায় আজ একটা ভালো ফলাফল করেছি। সে আরও জানায়, ভালো ফলাফলের জন্য পড়াশোনার কোনো বিকল্প নেই।
মানবিক বিভাগের খন্দকার ফারদিন ইসলাম রাদ জানায়, নিজের চেষ্টায় এবং শিক্ষকদের সহযোগিতায় জিপিএ—৫ পেয়েছি, ভবিষ্যৎ এ সে একজন আইনজীবী হয়ে সাধারণ মানুষের সাহায্য করতে চায়।
অপর শিক্ষার্থী বিজ্ঞান বিভাগের সাদ আহম্মেদ জানায়, এ বছর পরীক্ষায় প্রশ্ন কঠিন থাকলেও ভালো ফল আনতে পেরেছেন। সেই জন্য শিক্ষক ও বাবা—মায়ের অবদান রয়েছে।
যশোর সরকারি মহিলা কলেজ থেকে এ বছর মোট এইচএসসি পরীক্ষার্থী ছিলো ৬৫৫ জন। এর মধ্যে পাস করেছে ৬২২ জন শিক্ষার্থী। আর জিপিএ—৫ পেয়েছে ৬৬ জন শিক্ষার্থী। পাসের হার ৯৫%।
ডাক্তার আব্দুর রাজ্জাক মিউনিসিপ্যাল কলেজ থেকে এ বছর এইচএসসি পরীক্ষার্থী ছিলো ৫৮৪ জন। এর মধ্যে পাস করেছে ৪৫৮ জন শিক্ষার্থী। আর জিপিএ—৫ পেয়েছে ১৭ জন শিক্ষার্থী। পাসের হার ৭৯%।
যশোর শিক্ষা বোর্ড মডেল স্কুল এন্ড কলেজ থেকে এ বছর এইচএসসি পরীক্ষার্থী ছিলো ২৩০ জন। এর মধ্যে পাস করেছে ২২২ জন শিক্ষার্থী। আর জিপিএ—৫ পেয়েছে ১৯ জন শিক্ষার্থী। পাসের হার ৯৭%।
উপশহর মহিলা ডিগ্রী কলেজ থেকে এ বছর এইচএসসি পরীক্ষার্থী ছিলো ৩৪৯ জন। এর মধ্যে পাস করেছে ২৬৯ জন শিক্ষার্থী। আর জিপিএ—৫ পেয়েছে ৫ জন শিক্ষার্থী। পাসের হার ৭৫%।
নতুনহাট পাবলিক কলেজ থেকে এ বছর এইচএসসি পরীক্ষার্থী ছিলো ৩৮৯ জন। এর মধ্যে পাস করেছে ৩৭৬ জন শিক্ষার্থী। আর জিপিএ—৫ পেয়েছে ৫২ জন শিক্ষার্থী। পাসের হার ৯৬%।
মধুসূদন তারা প্রসন্ন বালিকা বিদ্যালয় ও কলেজ থেকে এ বছর এইচএসসি পরীক্ষার্থী ছিলো ৩৯ জন। এর মধ্যে পাস করেছে ২৩ জন শিক্ষার্থী। পাসের হার ৫৯%।