যবিপ্রবি প্রতিনিধি: যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) শহীদ মসিয়ূর রহমান ছাত্র হলে আবারও গাঁজা গাছ জন্মেছে। শুক্রবার হলের পিছনে পশ্চিম পাশে ৭/৮ টি গাঁজা গাছ পাওয়া যায়। এর আগে গত ১৫ জানুয়ারি ১৫ টি গাঁজা গাছ উদ্ধার করে আনসার সদস্যের মাধ্যমে পুড়িয়ে দেয় হল কর্তৃপক্ষ।
হলটিতে একাধিকবার গাঁজা গাছ পাওয়ায় ক্ষুব্ধ সাধারাণ শিক্ষার্থীরা। এ বিষয়ে ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের একজন শিক্ষার্থী বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় হলো জ্ঞান চর্চার কেন্দ্র। অথচ আমাদের এখানে মাদকদ্রব্য চাষের চর্চা হচ্ছে। হলের খেলার মাঠ, পিছন সাইড এমনকি রুমের করিডোরে মাদকের গাছ পাওয়া যাচ্ছে যা হতাশাজনক। এখানে হল কর্তৃপক্ষের সঠিক নজরদারির অভাব রয়েছে বলে আমরা মনে করি। ইংরেজি বিভাগের আরেকজন শিক্ষার্থী সৈয়দ ইশতিয়াক কাইয়ুম বলেন, এটা খুবই দুঃখজনক ঘটনা। এখানে হল কর্তৃপক্ষের ভূমিকা খুবই নগণ্য। তারা তো গাছ নিয়ে আসেনি কিন্তু তারা পরিচ্ছন্নতার কাজে ব্যর্থ। এখানে শিক্ষার্থীদের একটা অংশ হয়তো গাঁজা সেবন করে তাই প্রায়শই গাছ পাওয়া যাচ্ছে।
এ বিষয়ে শহীদ মসিয়ূর রহমান হলের প্রভোস্ট ড. আশরাফুজ্জামান জাহিদ বলেন, আমরা এখনি গাছগুলো ধ্বংস করার ব্যবস্থা গ্রহণ করবো। গতমাসে গাঁজা গাছ পাওয়ার পরই মালিকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছিল এসব গাছ যেন কোনভাবেই জন্মাতে না পারে। তারপরেও বারবার কেনো গাঁজা গাছ জন্মাচ্ছে তার সঠিক কারণ আমার জানা নেই। পূর্বের গাঁজা গাছ উদ্ধারের পর একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছিল। সেই তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন পেলে আমরা জানতে পারবো কেনো গাছগুলো জন্মাচ্ছে। এছাড়াও শনিবার মিটিং করে এ বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানান তিনি।