১৮ই মে ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৪ঠা জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
মন্দিরের জায়গা ব্যক্তি নামে রেকর্ডের অভিযোগ

চিতলমারী প্রতিনিধি : বাগেরহাটের চিতলমারী উপজেলা সদর বাজারস্থ মনসা মন্দিরের জায়গা শ্রীবাস সাহা (৫৫) নামে এক ব্যক্তি বিআরএস রেকর্ড করিয়ে নিয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। মন্দিরটি প্রতিষ্ঠার জন্য তার বড় ভাই হরেকৃষ্ণ সাহা রেজিস্ট্রির মাধ্যমে উক্ত জায়গা অর্পণ করেছিলেন।

শ্রীবাস সাহা ও হরেকৃষ্ণ সাহা চিতলমারী বাজারের মৃত জগবন্ধু সাহার ছেলে। ওই মন্দিরে বরাদ্দকৃত ২০২৩—২৪ অর্থ বছরের গ্রামীণ অবকাঠামো রক্ষণাবেক্ষণ কর্মসূচির (টিআর) ৫২ হাজার টাকা দুর্গা মন্দিরের সভাপতি অমলেশ সাহা আত্মসাৎ করেছেন। এসব অভিযোগ তুলেধরে হরেকৃষ্ণ সাহা রোববার (১০ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।

অভিযোগপত্রে জানা গেছে, চিতলমারী বাজারস্থ কুরমনি মৌজার এসএ ৯২/১ খতিয়ানের ২৭০ দাগের এক শতক জায়গা হরেকৃষ্ণ সাহা মনসা মন্দিরের জন্য ১৯৯৮ সালে ২১৩৭/৯৮ নং দলিল রেজিস্ট্রির মাধ্যমে অর্পণ করেন। পরে, ওই মন্দিরের জায়গা মাঠ জরিপের সময় তার ছোট ভাই শ্রীবাস সাহা কর্মকর্তাদের ভুল বুঝিয়ে নিজের নামে বিআরএস রেকর্ড করে নেন।

ওই মন্দিরের উন্নয়নকল্পে ২০২৩—২৪ অর্থ বছরে গ্রামীণ অবকাঠামো রক্ষণাবেক্ষণ কর্মসূচির (টিআর) আওতায় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় ৫২ হাজার টাকা বরাদ্দ দেন। কিন্তু মনসা মন্দিরের উন্নয়নের কাজ না করে চিতলমারী কেন্দ্রীয় সার্বজনীন দুর্গা মন্দির কমিটির সভাপতি অমলেশ সাহা তা আত্মসাৎ করেছেন। বিষয়টি সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচারের দাবিতে হরেকৃষ্ণ সাহা রোববার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বরাবর লিখিত অভিযোগটি দায়ের করেন।

হরেকৃষ্ণ সাহা সাংবাদিকদের বলেন, ‘মনসা মন্দিরে কোন কমিটি নেই। ব্যক্তিগত মনসা মন্দির সার্বজনীন দেখিয়ে টিআর—এর আনা একটি টাকাও অমলেশ সাহা মন্দিরের জন্য ব্যয় করেনি। সব টাকা আত্মসাৎ করেছে। অপরদিকে, জালিয়াতির মাধ্যমে শ্রীবাস সাহা মন্দিরের জায়গা নিজের নামে রেকর্ড করিয়েছে। আমি এ সব ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চাই।’

এ ব্যাপারে জানতে শ্রীবাস সাহাকে ফোন দেওয়া হলে তার স্ত্রী মনি রানী সাহা ফোন রিসিভ করেন। তিনি জানান, জায়গা জমির ব্যাপারে ফোনে কথা বলা যাবে না।
টিআর—এর টাকা আত্মসাতের অভিযোগ অস্বীকার করে অমলেশ সাহা বলেন, ‘এখনও কাজ করা হয়নি। সামনে করাবো’ ।

চিতলমারী প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) অপূর্ব দাস সাংবাদিকদের বলেন, ‘টিআর—এর টাকা আমাদের আগেই পরিশোধ করতে হয়। পরে কাজ পরিদর্শন করে বিল ভাউচার করা হয়। অভিযোগ থাকলে আমরা খতিয়ে দেখব।’

সম্পাদক ও প্রকাশক : শাহীন চাকলাদার  |  ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক : আমিনুর রহমান মামুন।
১৩৬, গোহাটা রোড, লোহাপট্টি, যশোর।
ফোন : বার্তা বিভাগ : ০১৭১১-১৮২০২১, ০২৪৭৭৭৬৬৪২৭, ০১৭১২-৬১১৭০৭, বিজ্ঞাপন : ০১৭১১-১৮৬৫৪৩
Email : samajerkatha@gmail.com
পুরাতন খবর
FriSatSunMonTueWedThu
 12
3456789
10111213141516
17181920212223
24252627282930
31 
স্বত্ব © samajerkatha :- ২০২০-২০২২
crossmenu linkedin facebook pinterest youtube rss twitter instagram facebook-blank rss-blank linkedin-blank pinterest youtube twitter instagram