সমাজের কথা ডেস্ক : দীর্ঘ আট মাস মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন নন্দিত গায়ক কুমার বিশ্বজিতের একমাত্র সন্তান কুমার নিবিড়। গেল কয়েকটা মাস অন্যরকমভাবে দিন গুণছেন, কবে তার বুকের ধন বুকে আসবে। মনের সেই চাপা আকুতি এবার সুরে তুলে ধরলেন বিশ্বজিৎ। তৈরি করেছেন গান— ‘নিবিড় অপেক্ষা’।
‘আমার বুকেই কেন বৃষ্টি অঝোরে ঝরে পড়ছে; তবু সারাক্ষণ আমার হৃদয় মন নিবিড় অপেক্ষা করছে’— এমন কথায় সাজানো গানটি লিখেছেন হাসানুজ্জামান মাসুম। সুর ও সংগীতায়োজন করেছেন কিশোর দাস।
গত ২২ নভেম্বর এসেছে গানটির টিজার। এদিনই ছিল কুমার নিবিড়ের ২২তম জন্মদিন। ফেসবুক পেজে ‘নিবিড় অপেক্ষা’ টিজার শেয়ার করে কুমার বিশ্বজিৎ জানিয়েছেন, বিশেষ দিনে নিবিড়ের জন্য এটি তার আশীর্বাদ।
দীর্ঘদিন পর কোনো গানে কণ্ঠ দেওয়া নিয়ে এই শিল্পী বলেন, ‘শিল্পীর প্রাণ মরে যায় যখন, তখন গান গাওয়াটাই তার জন্য কঠিন হয়ে যায়। আর আট মাস ধরে একরকম বেঁচে থেকেও বেঁচে না থাকার মতো আছি আমি। এবার ব্যক্তিগত কিছু কাজে যখন দেশে যাই, তখন আমার স্নেহের দুই ছোট ভাই কিশোর ও বাপ্পী এসে ধরল গানটি গাওয়ার জন্য।
বলল, “আপনার জন্যই গানটি করা।” গানটির কথা ও সুর ভালো লাগল। তার চেয়ে বড় বিষয় হলো, গানটিতে একটা আর্ত এবং অপেক্ষার বিষয় রয়েছে, যেটা আমাকে খুব স্পর্শ করেছে, তাই গাইলাম।’
উল্লেখ্য, গত ১৪ ফেব্রুয়ারি কানাডায় সড়ক দুর্ঘটনার শিকার হন কুমার নিবিড় ও তার তিন বন্ধু। সড়ক বিভাজকে ধাক্কা খেয়ে গাড়িটি উল্টে আগুন ধরে যায়। ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে গাড়ি থেকে চারজনকে উদ্ধার করেন।
স্থানীয় পুলিশ তখন জানিয়েছিল, দুর্ঘটনাকবলিত গাড়িটি চালাচ্ছিলেন নিবিড় কুমার। দুর্ঘটনায় তাৎক্ষণিকভাবে ঘটনাস্থলেই দুজনের মৃত্যু হয়। তৃতীয়জন হাসপাতালে নেওয়ার পর মারা যান। তারা সবাই প্রবাসী শিক্ষার্থী হিসেবে কানাডায় পড়াশোনা করছিলেন।