ভোট প্রদান একটি নাগরিক অধিকার। বিশ্বের অনেক দেশে ভোট বাধ্যতামূলক। কেউ ভোট দিতে না চাইলে সেটি তার ইচ্ছা। তবে ভোট দিতে যদি বাধা দেওয়া হয়, তবে সেটি মানবাধিকারের লঙ্ঘন। কাউকে ভোট দিতে বাধ্য করা হলে, সেটি আচরণবিধির লঙ্ঘন।
জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের মত এটি। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন শান্তিপূর্ণ করতে ‘বুদ্ধিবৃক্তিক কৌশল’ নির্ধারণে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে যথাযথ কাজ করার জন্য পরামর্শ দিয়েছে মানবাধিকার কমিশন। তদুপরি নির্বাচনের ক্ষেত্রে যারা অংশীজন, তাদের প্রত্যেকের ভূমিকা ও দায়িত্ব সম্পর্কে দেওয়া হয়েছে গাইডলাইন।
মানবাধিকার কমিশন চায় দেশে একটি সুষ্ঠু নিরপেক্ষ ও অবাধ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হোক। ভোটাররা স্বাধীনভাবে ভোট কেন্দ্রে গিয়ে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করুক।
মানবাধিকার কমিশন বলছে, সাংবিধানিক দায়িত্ব হিসেবে নির্বাচন করা বাধ্যতামূলক। প্রত্যেকের অধিকার রয়েছে নির্বাচন করা ও নির্বাচিত হওয়ার। কারও ইচ্ছা না হলে নির্বাচন বর্জন করতে পারে। তবে আহ্বান জানানো উচিত সবাইকে।
নির্বাচন কমিশনও ইতোমধ্যে পরিপত্র জারি করে ভোটকেন্দ্র ও চারপাশের পরিবেশ সুরক্ষা এবং করণীয়সহ নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছে। আসন্ন নির্বাচন অবাধ সুষ্ঠু নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণ করার আহ্বান জানিয়েছে জনগণের প্রতি। এও বলেছে যে, দেশের অর্থনীতি, ভবিষ্যৎসহ অনেক কিছু রক্ষা করতে হলে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন সবার জন্য গ্রহণযোগ্য করতে হবে।
কেননা, গণতন্ত্রকে বাঁচিয়ে রাখতে হলে নির্বাচনকে বাঁচিয়ে রাখতে হবে। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক নেতৃত্ব যেভাবে বিভক্ত হয়ে পড়েছে, সেটি কাম্য নয়। এখান থেকে আমাদের বেরিয়ে আসতে হবে। সবাইকে সমানভাবে দায়িত্বশীল হতে হবে। সমুন্নত রাখতে হবে সংবিধান।
তদনুযায়ী যথাসময়ে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন করা নির্বাচন কমিশনের অন্যতম দায়িত্ব ও কর্তব্য। এর জন্য প্রশাসন, বিচার বিভাগ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর যথাযথ সহায়তা প্রত্যাশিত। সংশি¬ষ্ট সবাইকে সাহসিকতা ও সততার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করতে হবে। তাহলেই নির্বাচন হবে সুষ্ঠু, অবাধ, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য।