নিজস্ব প্রতিবেদক : ভুল চিকিৎসায় অঙ্গহানির অভিযোগে ঢাকার প্রফেসর ডাক্তার এমএম মফিজুর রহমানের বিরুদ্ধে যশোর আদালতে মামলা হয়েছে। বুধবার যশোর পলিটেকনিক রোডের বাসিন্দা ইরাব মাসুম এ মামলা করেছেন।
জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক ইমরান আহম্মেদ অভিযোগের তদন্ত করে পিবিআইকে প্রতিবেদন জমা দেয়ার আদেশ দিয়েছেন। আসামি প্রফেসর ডাক্তার এমএম মফিজুর রহমান ঢাকার লালমাটিয়া সাত মসজিদ এলাকার সিটি হাসপাতাল প্রাইভেট লিমেটেডের চিকিৎসক।
মামলার অভিযোগে জানা গেছে, ইরাব মাসুম দীর্ঘদিন ধরে হার্নিয়া রোগে ভুগছিলেন। ২০২২ সালের ২০ সেপ্টেম্বর যশোর শহরের কিংস হাসপাতাল থেকে ডাক্তার এনকে আলমের মাধ্যমে তলপেটের বামপাশে অপারেশন করেন।
কিছুদিন পর অপারেশনের জায়গায় ফোলা অনুভব করায় তিনি ডাক্তার এনকে আলমের শরণাপন্ন হন। ডাক্তার তাকে আশ্বস্ত করেন সমস্যা দূর হয়ে যাবে।
এরপর তিনি ঝর্ণা ক্লিনিকের ডাক্তার আবুল কালামকে দেখিয়ে তার পরামর্শে আল্ট্রাসনো করে অপারেশনের জায়গায় রক্ত জমে আছে বলে জানতে পারেন।
পরবর্তীতে তিনি উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা লালমাটিয়ার সিটি হাসপাতালের প্রফেসর ডাক্তার এমএম মফিজুর রহমানকে দেখান। তিনি প্যাথলজিক্যাল পরীক্ষা করে ডানপাশে হার্নিয়া আছে বলে জানান।
ইরাব মাসুম চিকিৎসককে ডানপাশে কোন সমস্যা নেই বললেও তিনি তা মানতে নারাজ। এক পর্যায়ে চলতি বছরের ২৭ ফেব্রুয়ারি প্রফেসর ডাক্তার এমএম মফিজুর রহমান তার ডান পাশের হার্নিয়া অপারেশন করেন।
অপারেশন পরবর্তী রোগীর অন্ডকোষ ফুলে ওঠে এবং পানি ঝরতে থাকেন। এরমধ্যে দু’দিন পর ছাড়পত্র দিয়ে রোগীকে ছুটি দিয়ে দেন চিকিৎসক। চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্র অনুযায়ী তিনি বাড়ি এসে ওষুধ খেতে থাকেন।
একপর্যায়ে তিনি লক্ষ্য করেন তার ডানপাশের অন্ডোকোষটি শুকিয়ে যাচ্ছে। এবার যশোর মেডিকেল কলেজের সার্জন ডাক্তার ফিরোজ মাহমুদের শরণাপন্ন হন। গত ৩ জুন চিকিৎকের পরামর্শে আল্ট্রাসনো করে রিপোর্টে দেখেন অন্ডকোষ শুকিয়ে গেছে।
২৭ জুলাই একই রিপোর্ট করে তিনি বলে জানতে পারেন অন্ডকোষ শুকিয়ে মার্বেলের মত হয়ে গেছে। প্রফেসর ডাক্তার এমএম মফিজুর রহমানের ভুল চিকিৎসায় অন্ডকোষের রক্তনালি কেটে ফেলায় এ সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে।
ফলে রোগীর প্রায় ৫ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। এতে রোগী মানসিক, আর্থিক ও অঙ্গহানি হওয়ায় তিনি আদালতে এ মামলা করেছেন।