মহম্মদপুর (মাগুরা) প্রতিনিধি : মাগুরার মহম্মদপুরে পানিখাটা দক্ষিণ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চার কক্ষ বিশিষ্ট একটি ভবন পরিত্যক্ত হওয়ার পর শ্রেণি কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে গাছ তলায়। রোদ, বৃষ্টি, টয়লেটের গন্ধ সহ নানা প্রতিকূলতার মধ্যে ওই বিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে শিক্ষকরা। রোববার দুপুরেও গাছ তলায় ক্লাস নিতে দেখা যায়।
১৯০০ সালে বিদ্যালয়টি স্থপিত হয়। ১২৩ বছর বষসী এ বিদ্যালয়ে বর্তমানে ১৬৭জন ছাত্র-ছাত্রী রয়েছে। এখানে ৫জন শিক্ষক ও ১জন কর্মচারী রয়েছে। বিদ্যালয়ে দুইটি ভবন রয়েছে। চারকক্ষ বিশিষ্ট পরিত্যক্ত ছাড়াও দুই কক্ষ বিশিষ্ট আরেকটি ভবন রয়েছে।
তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী আনিকা ও ছাত্র আরিয়ান জানায়, রোদের মধ্যে আমাদের ক্লাস করতে হয়। আমাদের সমস্যা ও কষ্ট হয়। ঠিকমত পড়তে পারিনা। বাইরে থেকে ময়লার দুর্গন্ধ আসে। আর বৃষ্টি হলে বই-ব্যাগ তো ভিজেই যায়।
সহকারি শিক্ষক লিটন কুমার রায় বলেন, বিদ্যালয়ে দুইটি ভবন আছে। পুরাতন ভবনে গত বছর হঠাৎ করে ছাদ ভেঙে পড়ে। ওই ভবনে এখন পলেস্তারা খসে পড়ছে। ক্লাস নেওয়া যাচ্ছে না। ঝুঁকি নিয়ে ক্লাস করালে পলেস্তারা ভেঙে ছাত্র-ছাত্রীদের মাথার উপর পড়লে এর দায়ভার কে নেবে। এর কারনে দুই মাস আগের থেকে আমরা গাছ তলায় ক্লাস নিচ্ছি। আরেকটা ভবন আছে। তবে এই ভবনের একটি কক্ষে ক্লাস নেওয়া হয়। অন্য কক্ষ অফিস হিসেবে ব্যবহার করা হয়। সর্বপরি একটি কক্ষ ছাড়া ক্লাস নেওয়ার মত আর কোন কক্ষ নেই।
প্রধান শিক্ষক সাইফুল ইসলাম জানান, বিদ্যালয়ের ভবনের জন্য গতবছর মহম্মদপুর উপজেলা শিক্ষা অফিসার বরাবর আবেদন দিয়েছি। এবছরও আবারও আবেদন করেছি। এখনও কোন ভবন পাইনি। ৪কক্ষের ভবনটি ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় ম্যানেজিং কমিটির সিদ্ধান্ত মোতাবেক ভবনটি পরিত্যাক্ত ঘোষণা করা হয়েছে। উপায় না পেয়ে গাছ তলাতে পাঠদান করাতে হচ্ছে। এতে করে আমরা ঠিকমত পাঠদান করাতে পারচ্ছি না।
এ ব্যাপারে উপজেলা শিক্ষা অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) মো. ওয়াহিদুজ্জামান জানান, বিষয়টি উর্ধ্বতন মহলে জানানো হয়েছে। ওই বিদ্যালয়ে দ্রুতই ভবনের বরাদ্দ আসবে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার রামানন্দ পাল জানান, ভবনের চাহিদা দেওয়া আছে। আমরা আশাবাদী দ্রুতই ভবন পাওয়া যাবে।