বিনোদন ডেস্ক : রুপালি পর্দার তারকারা ঘন ঘন জনসমক্ষে এলে ক্রেজ থাকে না— একথা মনেপ্রাণে বিশ্বাস করতেন মহানায়ক উত্তম কুমার। একবার সেইজন্যই সহকর্মী তথা ভ্রাতৃপ্রতিম শুভেন্দু চট্টোপাধ্যায়কে বকুনি দিয়েছিলেন, কেন তিনি পেট্রোল পাম্পে গাড়ি থেকে নেমেছিলেন! আসলে তাকেও খ্যাতির বিড়ম্বনায় পড়তে হয়েছিল কয়েকবার।
বাঙালির ম্যাটিনি আইডল বলে কথা। উত্তম কুমার মানেই তো তখন জনঅরণ্য। বাঁধভাঙা উচ্ছ্বাস। ‘স্টার’ উত্তমকে দেখতে হুটোপুটি। কিন্তু ভোট মানে তো, আমজনতা থেকে তারকা, বুথের কোনও ভাগাভাগি নেই! তাহলে কীভাবে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতেন মহানায়ক?
সম্প্রতি এক সংবাদমাধ্যমের সাক্ষাৎকারে উত্তম কুমারের নাতি গৌরব চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন, তিনি তার ঠাকুরদাকে (উত্তম কুমার) না দেখলেও পরিবারের সদস্যদের মুখেই শুনেছিলেন যে, মহানায়ক কখনও বুথে গিয়ে ভোট দিতেন না। বরং বাড়ি থেকেই খামে ভরে তার ভোট জমা পড়তো। সরকারি কর্মীরা যেভাবে পোস্টার ব্যালটে ভোট দেন সেভাবেই ভোটাধিকার প্রয়োগ করতেন উত্তম কুমার।
পোর্ট ট্রাস্টের চাকুরিজীবী হিসেবেই মহানায়ক এই বিশেষ সুবিধা পেতেন। তবে পরে অভিনয়ের জন্য সেই চাকরি ছেড়ে দিলেও তৎকালীন সরকার তার জন্য এই বিশেষ ব্য়বস্থা বহাল রেখেছিলেন। কারণ, বুথে উত্তম কুমারকে দেখলে জনবিস্ফোরণ ঘটতে পারে। তাতে গোলযোগ দেখা দিতে পারে। সেই বিশৃঙ্খলা রুখতেই উত্তম কুমারের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা বহাল রেখেছিল সেইসময়ের ক্ষমতাসীন সরকার।
রাজনীতি আর গ্ল্যামার দুনিয়া বর্তমানে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। তারকাদের রাজনৈতিক ময়দানে অবতরণের খবর নতুন নয়! এযাবৎকাল বহু তারকা সাংসদ-বিধায়ক পেয়েছে দেশবাসী। ভোটবাক্স ভারী করতে প্রচারের ময়দানে তারকামুখের ঝলকও এদেশে নতুন নয়। চলতি লোকসভা ভোটের আবহে আমজনতার পাশাপাশি সেলেবরাও গণতন্ত্রের উৎসবে মেতে ওঠেন বরাবর। বুথে লাইন দিয়ে তারাও ভোট দেন। কিন্তু উত্তম কুমার কখনও কেন্দ্রে গিয়ে ভোট দিতেন না।