সমাজের কথা ডেস্ক : বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) চতুর্থ ম্যাচে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সকে ৪ উইকেটে হারিয়ে শুভসূচনা করেছে খুলনা টাইগার্স। প্রথমে ব্যাট করা চট্টগ্রাম ১৯.৫ ওভারে ১২১ রানে গুটিয়ে যায়। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ১৮.২ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে জয় পায় খুলনা।
আজ শনিবার মিরপুর শের—ই—বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে খেলে দুদল। বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় শুরু হয় ম্যাচটি। যেখানে টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন খুলনা অধিনায়ক এনামুল হক বিজয়।
তবে ব্যাটিংয়ে নেমে নাহিদুল ইসলামের ঘূর্ণিতে শুরু থেকেই ধুঁকতে থাকে চট্টগ্রাম। টপঅর্ডারের ৩ ব্যাটার অভিষেক ফার্নান্দো, তানজিদ হাসান (১৯) ও ইমরানুজ্জামানকে ফেরান এই ডানহাতি। মাঝে শাহাদাত হোসেনকে বিদায় করেন নাসুম আহমেদ। এরপর ফের নাহিদুলের আঘাত। তিনি মাঠ ছাড়া করান ২৪ রান করা নাজিবুল্লাহ জাদরানকে।
নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারানো চট্টগ্রামের হয়ে হাল ধরার চেষ্টা করেন শহিদুল ইসলাম। তিনি শেষ ওভারে আউট হওয়ার আগে ৪টি চার ও একটি ছক্কায় দলীয় সর্বোচ্চ ৩১ বলে ৪০ রান করেন। তবে দলের হয়ে বাকিদের কেউই আর সেভাবে দাঁড়াতে পারেননি।
দুর্দান্ত বল করা নাহিদুল ৪ ওভারে মাত্র ১২ রানে ৪টি উইকেট পান। ৪ ওভারে ২০ রানে ৩টি উইকেট পান ফাহিম আশরাফ।
১২২ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে খুলনাও স্বস্তিতে ছিল না। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারায় দলটি। দুই ওপেনার এভিন লুইসকে (১২) আল—আমিন হোসেন ও এনামুল হক বিজয়কে শহিদুল ইসলাম ফেরান। আল—আমিনের দ্বিতীয় শিকার হয়ে মাঠ ছাড়েন ওয়ান ডাউনে নামা শাই হোপ।
অবশেষে হাল ধরেন আফিফ হোসেন ও মাহমুদুল হাসান জয়। তবে তাদের ব্যাটিংও ছিল বেশ মন্থর। যেখানে নিহাদুজ্জামানের বলে বোল্ড হওয়া আফিফ ২৮ বলে একটি চারের সাহায্যে ২৬ রান করেন। শেষ দিনে আউট হওয়া জয় অবশ্য দলকে ভালো অবস্থানে নিয়েই ফেরেন। তিনি ১৮তম ওভারে শহিদুলের দ্বিতীয় শিকার হন। এই ডানহাতি ৪৪ বলে একটি চার ও সমান ছক্কায় ৩৯ রান করেন। শেষ দিকে ১৫ রানে অপরাজিত থেকে জয় নিশ্চিত করেন ফাহিম আশরাফ।