সমাজের কথা ডেস্ক : এবারের বিশ্বকাপে প্রথম আফ্রিকান দল হিসেবে সেমিফাইনালে পা রাখা মরক্কো দলে বিদেশি খেলোয়াড়ের ছড়াছড়ি। দলটির এবারের বিশ্বকাপ স্কোয়াডের ২৬ সদস্যের মধ্যে ১৬ জনের জন্মই মরক্কোর বাইরে। তারা গ্রুপপর্বে ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে বিশ্বের ২ নম্বর দল বেলজিয়ামকেও গুঁড়িয়ে দেয়। তাদের দলের খেলোয়াড়রা বিভিন্ন দেশে জন্ম নেয়া ও য়াররার বিভিন্ন ক্লাবের পরিচিত মুখ। এমন সব ফুটবলারকে নিয়ে শক্তিশালী দল গড়েছে মরক্কো ।
প্যানাল্টিতে জয়সূচক গোলটি করে দলকে শেষ আটের টিকিট যিনি ধরিয়ে দেন সেই আশরাফ হাকিমির জন্ম স্পেনের মাদ্রিদে। তিনি পিএসজির তারকা ফুটবলার ও দলের অন্যতম ডিফেন্ডার।
নকআউটে স্পেনের বিপক্ষে টাইব্রেকারে তিনটি শট ঠেকিয়ে দেন গোলরক্ষক ইয়াসিন বোনো। ৩১ বছর বয়সী ইয়াসিন বোনোও অভিবাসী খেলোয়াড়। তিনি একজন কানাডিয়ান। কানাডার মন্ট্রিয়লে জন্ম নেয়া বোনোর প্রথম আট বছর কাটে সেখানে। পরে তিনি পরিবারের সঙ্গে মরক্কো চলে আসেন। বোনো সেভিয়ারের একজন তারকা ফুটবলার। প্লে-মেকার ও আক্রমণাত্মক মিডফিল্ডার হাকিম জিয়েচ ও সেন্টার মিডফিল্ডার সোফিয়ান আমরাবাটের জন্ম নেদারল্যান্ডসে। অপরদিকে দলের অধিনায়ক রোমাইন সাইস এবং লেফট উইংগার সোফিয়ানে বৌফালের জন্ম ফ্রান্সে। তাদের কোচ ওয়ালিদ রেগ্রাগুইয়ের জন্ম প্যারিসে। তবে জাতীয় দলের প্রশ্নে তিনি বেছে নিয়েছেন মরক্কোকে।
প্রথম আফ্রিকান দলের পাশাপাশি প্রথম মুসলিম দেশ হিসেবে মরক্কোর সামনে সুযোগ এসেছে ফ্রান্স বাধা টপকে ফাইনালে যাওয়া। চ্যাম্পিয়ন হওয়ার সেই অধরা থেকে মাত্র দুই ধাপ পেছনে রয়েছেন আফ্রিকার দলটির।