কোনোভাবেই নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না পেঁয়াজের দাম। বিভিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালনা করেও লাভ হচ্ছে না। সঙ্গে বেড়েছে আলুর দামও। বিভিন্ন গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে জানা যায়, বাজারে দেশি নতুন পেঁয়াজ উঠলেও কমেনি দাম।
খুচরা বাজারে ভারতীয় পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১৭০ টাকায়, আর প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১১০—১২০ টাকায়। পেঁয়াজের পাশাপাশি বেড়েছে আলুর দামও। খুচরা বাজারে প্রতি কেজি আলু বিক্রি হচ্ছে ৭০—৮০ টাকা দরে।
ক্রেতাদের অভিযোগ, সরকার কোনো পণ্যের দাম বাড়ালে ব্যবসায়ীরা মিনিটের মধ্যে কার্যকর করে। আর দাম কমালে দিনের পর দিনও কার্যকর হয় না। সরকার নির্ধারিত দাম কাগজে—কলমেই সীমাবদ্ধ থাকে। সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীদের কবল থেকে কোনোভাবেই মুক্তি পাচ্ছেন না সাধারণ ভোক্তারা।
দুদিন আগে দ্রব্যমূল্য সব মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে রাখা, কর্মসংস্থান বাড়ানো এবং সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থায় সবাইকে যুক্ত করাসহ ১১টি বিষয়কে প্রাধান্য দিয়ে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ইশতেহার ঘোষণা করেছে আওয়ামী লীগ। বর্তমান সময়ে বাজার নিয়ন্ত্রণ যেন প্রধান চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
দফায় দফায় বিভিন্ন পণ্যের দাম বাড়িয়ে সুযোগ নিচ্ছেন অসাধু ব্যবসায়ীরা। বাজার মনিটরিং না থাকার কারণে এমন অবস্থার জন্য দায়ী করছে মানুষ। বাজারে অসাধু ব্যবসায়ীদের কারসাজি নতুন নয়।
সিন্ডিকেটের কবলে পড়ে সব ধরনের নিত্যপণ্যের দাম অস্বাভাবিক হারে বেড়ে গেছে। চলমান পরিস্থিতিতে স্বল্প আয়ের মানুষের নিত্যদিনের চাহিদায় কাটছাঁট করতে হচ্ছে। সবমিলে নিত্যপণ্যের বাড়তি দাম মেটাতে ভোক্তার হাঁসফাঁস অবস্থা। সরকার বাজার মনিটরিংসহ যেসব পরিকল্পনা নিয়েছে এগুলো যেন যথাযথভাবে বাস্তবায়িত হয়, তা নিশ্চিত করতে হবে। —আব্দুল্লাহ আল মামুন, শিক্ষার্থী, যশোর।