মহম্মদপুর (মাগুরা) প্রতিনিধি : মাগুরার মহম্মদপুরের মালয়েশিয়া প্রবাসী আলী হাসানের সাথে ফেসবুকে প্রেম তারপর মোবাইলে বিয়ে করেন ফাতেমা খাতুন (২০) নামে এক তরুণী। বিয়ের মাত্র চারমাস পার হতে না হতেই ওই নারী আত্মহত্যা করেছেন।
রোববার রাত সাড়ে দশটার দিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। উপজেলার বালিদিয়া ইউনিয়নের যশপুর গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।
ফাতেমা উপজেলার যশপুর গ্রামের জিয়াউর সরদারের ছেলে আলী হাসানের স্ত্রী এবং ঢাকা আমিন বাজার এলাকার নবীর হোসেনের মেয়ে।
সরেজমিনে জানা যায়, ফাতেমা গত চারমাস আগে মালয়েশিয়া প্রবাসী যশপুর গ্রামের আলী হাসানের সাথে বিয়ে হয়। তাদের পরিচয় হয় ফেসবুকের মাধ্যমে। দীর্ঘদিন মোবাইলে কথা বলে তারা নিজেরাই সিদ্ধান্ত নিয়ে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন।
কাজী তাদের বিবাহ সম্পন্ন করেন মোবাইলের মাধ্যমে। বিয়ের একমাস পরেই বোন এবং দুলাভাই সাথে নিয়ে স্বামী বাড়িতে চলে আসেন। তারপর শ্বশুর এবং শাশুড়িসহ পরিবারের সাথে সংসার করছিলেন। ফাতেমাকে তার শ্বশুর—শাশুড়ি নিজেদের মেয়ের মতই ভালবাসতেন বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন।
ফাতেমার স্বামী আলী হাসানের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, রবিবার সকালে ফাতেমার মা হঠাৎ অসুস্থ হয়। ফাতেমাকে ফোন করে তার বাবা বাড়িতে যেতে বলে। পরে তার মাকে দেখতে যেতে চাইলে বাড়িতে কাজ থাকায় পরের দিন যাওয়ার কথা বলা হয়। অসুস্থ মাকে দেখতে যাওয়ার অনুমতি চান।
এ বিষয়টি নিয়ে তার সাথে মনোমালিন্য ও কথা—কাটাকাটি হলে রেখে ফোন কেটে দেয়। পরে তার বেডরুমের দরজা বন্ধ করে সিলিংফ্যানের সাথে নিজের ব্যবহৃত ওড়না দিয়ে গলায় ফাঁস দেন। স্থানীয় লোকজনদের সহয়তায় দেয়াল ভেঙে তাকে উদ্ধার করে মহম্মদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
মহম্মদপুর থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি বোরহান উল ইসলাম জানান, লাশ ময়না তদন্তের জন্য মাগুরা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে একটি অপমৃত্যু মামলা নেওয়া হয়েছে। ময়না তদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পর জানা যাবে এটা হত্যা না আত্মহত্যা।