৫ই মে ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ২২শে বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
ফুটপাত কেন দখলমুক্ত হয় না
ফুটপাত কেন দখলমুক্ত হয় না ?

মনিরুজ্জামান মনির : যশোর পৌরসভার বেশির ভাগ সড়কের দুই পাশের ফুটপাত থাকে হকারদের দখলে। মাঝে মাঝে উচ্ছেদ অভিযান চললেও কিছুদিন পরে আবার পূর্বের অবস্থায় ফিরে আসে অনেক স্থানের ফুটপাতে অনেকটা স্থায়ীভাবে দখল করে আছে পেছনের দোকানদারা।

ফুটপাত দৃশ্যত হকারদের দখলে থাকলেও মূল দখলকারী প্রভাবশালী গোষ্ঠী। জনপ্রতিনিধি, রাজনৈতিক নেতার পরিচয়ে প্রভাবশালী কতিপয় ব্যক্তি হকারদের কাছ থেকে নিয়মিত ভাড়া নিয়ে বৈধতা দিয়ে থাকে। উচ্ছেদ অভিযান থামিয়ে রাখা, উচ্ছেদের পর পুনরায় বসানোর দায়িত্ব মূলত ভাড়াদানকারীরা করে থাকেন। এসব দখলদারা মুখে মুখে পরিচিত হলেও তাদের বিষয়ে মুখ খুলতে চাননা কেউ। তবে হকারদেরও যে ‘বড়ভাই’ আছে এ বিষয়টি তাদের কথায় প্রকাশ পেয়েছে।

এ কারনেই ফুটপাত দখল সমস্যা জিইয়ে থাকছে দিনে পর দিন। এমনকি দেখা যায় অনেক জায়গায় প্রধান সড়কের উপর বেচাকেনা করছে হকাররা। কোন কোন সময় নিজস্ব যানবহনের উপর বসেই ক্রেতারা কেনাকাটা করছেন। এরফলে সৃষ্টি হচ্ছে যানজটের। ব্যস্ত এ শহরে এক বার যানযট তৈরি হলে সারা দিনই ভুগান্তিতে পড়তে হয়। দিন শেষ হলেও যানজট থাকেই। এ কারণে ট্রাফিক পুলিশও সারাদিন হিমশিম খেতে হয়।


শহরের এইচএমএম রোডের বড় অংশ হকাররা দখল নিয়ে বিভিন্ন জিনিসপত্র বিক্রি করে। স্থায়ী দোকানীরা তাদের দোকানের সামনে হকারদের বসার সুযোগ করে দেয়। যার কারণে ভোগান্তির আর এক নাম হয়েছে এইচএমএম রোড। দড়াটানা মোড় থেকে বঙ্গবন্ধু মুরাল হয়ে মুসলিম একাডেমি স্কুল পর্যন্ত ফুটপাতে হকাররা দখলে রাখে বারো মাস।
প্রশাসন রাস্তার ফুটপাত দখল মুক্ত করলেও কোন কাজই হচ্ছে না। মূলত অভিযান চলে লোক দেখানো। অনেক সময় যারা অভিযান চালাই তারা পুর্নবাসনের সাথে জড়িত থাকে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে অভিযানের পূর্বে হকাররা সরে যায়। আগেই তারা পেয়ে যায় খরব। যার কারনে দখলমুক্ত ফুটপাত কল্পনার বাইরে চলে গেছে।
মুজিব সড়কের হকার আলী হোসেন জানান, ‘ভাই আমাদের বলে লাভ নেই্। এই জায়গার জন্য অনেকে ডিসি ওসির সাথে যোগাযোগ করে। কিন্তু এখন আর আগের মতো মজা নেই। আমরা সব সময় দৌড়ের উপর থাকি। এখন একটু কড়াকড়ি বেশি হয়েছে।’

পথচারি আশ্রম মোড়ের রাজু ব্যানর্জি জানান, ফুটপাত দখল মুক্ত করা প্রয়োজন। বিশেষ করে শহরে মানুষের চলাচলের খুবই কষ্ট হয়। শহরের মধ্যে রিক্সা এবং ইজিবাইকের চাপ আবার অন্য দিকে ফুটপাত হকারদের দখলে। চলাচলের কোন উপায় নেই।
পথচারি মনির জানান, আসলে শহরের মধ্যে এমনিতেই ভিড়। অনেক সময় হেটে চলাচল করাই যায় না। আবার যদি ফুটপাতের উপর বেচাকেনা করে তাহলে কি চলাচল করা যায়। আসলে ফুটপাত ফাঁকা থাকলে যানজটও অনেকটা কমে যাবে।

সানজিদুল ইসলাম জানান, ফুটপাত ফাঁকা থাকলে নিরাপদে চলাচল করা যায়। রাস্তায় জটও কম হয়।
পৌরসভার প্রশাসনিক কর্মকর্তা ও দায়িত্বপ্রাপ্ত তথ্য কর্মকর্তা উত্তম কুমার কুন্ডু বলেন, পৌরসভার ফুটপাত সাধারণ মানুষের চলাচলের জন্য উম্মুক্ত করা হচ্ছে। আমরা কয়েক স্থানে কমিউনিটি পুলিশও মোতায়ন করেছি।
যশোর পৌরসভার প্যানেল মেয়র মোকসীমুল বারী অপু বলেন, ফুটপাত সব সময় আমাদের নজরে আছে।

ইতেমধ্যে দড়াটানা মোড় থেকে বঙ্গবন্ধু মুরাল রোডে কমিউনিটি পুলিশ দেওয়া হয়েছে। আসলে আমরা শত চেষ্টা করলেও ফুটপাত দখল মুক্ত হয় না। বিভিন্ন সময় আমরা উচ্ছেদও করে থাকি। উচ্ছেদ করার পরে হকাররা গায়ের জরে আবার বসে যায়। তবে আগের থেকে অনেকটায় মুক্ত আছে। এ ফুটপাত দখল মুক্ত হলে রাস্তারও চাপ কমে আসবে। যানজটেরও সম্ভাবনা কম হবে। যার কারণে আমরা বিভিন্ন সময় নির্বাহি ম্যাজিস্ট্রেট নিয়ে দখল মুক্ত করে থাকি।

সম্পাদক ও প্রকাশক : শাহীন চাকলাদার  |  ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক : আমিনুর রহমান মামুন।
১৩৬, গোহাটা রোড, লোহাপট্টি, যশোর।
ফোন : বার্তা বিভাগ : ০১৭১১-১৮২০২১, ০২৪৭৭৭৬৬৪২৭, ০১৭১২-৬১১৭০৭, বিজ্ঞাপন : ০১৭১১-১৮৬৫৪৩
Email : samajerkatha@gmail.com
পুরাতন খবর
FriSatSunMonTueWedThu
 12
3456789
10111213141516
17181920212223
24252627282930
31 
স্বত্ব © samajerkatha :- ২০২০-২০২২
crossmenu linkedin facebook pinterest youtube rss twitter instagram facebook-blank rss-blank linkedin-blank pinterest youtube twitter instagram