সমাজের কথা ডেস্ক : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘আমার যাত্রাপথ এত সহজ ছিল না। নানা রকম ষড়যন্ত্র, চক্রান্ত চলছিল। এখনো সেই ষড়যন্ত্র, চক্রান্ত আছে। তবে বাংলাদেশের মানুষই আমার পরিবার, এই বাংলাদেশের মানুষই আমার আপনজন। তাদের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য আমার বাবা যেভাবে তার জীবন উৎসর্গ করেছেন, আমার মা—ভাইয়েরা জীবন দিয়ে গেছে, প্রয়োজনে আমিও আমার বুকের রক্ত ঢেলে দেব এদেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য।’
<<আরও পড়তে পারেন>> জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করাই আমাদের কাজ : প্রধানমন্ত্রী
আজ বুধবার সকাল ১০টায় গণভবনে দ্বাদশ জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত নারী আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশীদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতে তিনি এসব কথা বলেন।
আওয়ামী লীগের সভাপতি বলেন, ‘দলের নেতাকর্মীরা নির্যাতন অত্যাচার সহ্য করে সংগ্রাম চালিয়েছে। তাই মানুষের সমর্থন আর ভালোবাসাই আমাদের প্রেরণা। আমি অসংখ্যবার মৃত্যুকে মুখোমুখি দেখেছি। আমাকে মোকাবিলা করতে হয়েছে। আমাকে রক্ষায় অনেকে নিজের জীবন দিয়ে গেছেন। অনেক চড়াই—উৎরাই পার হয়ে আজকের এই বাংলাদেশ।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘যে আদর্শ নিয়ে জাতির পিতা দেশ স্বাধীন করেছিলেন তা ব্যর্থ হতে পারে না। সে আদর্শকে ধরে রাখতেই দেশে ফিরে আসা। কবরের মাটি ছুঁয়ে শপথ নিয়েছিলাম, এ স্বাধীনতা ব্যর্থ হতে দেবো না।’
সংরক্ষিত নারী আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আমাদের নারীদের কিন্তু অনেক দায়িত্ব রয়েছে। আমরা এতো জনের মধ্যে মাত্র ৪৮ জনকে মনোনয়ন দিতে পারবো। তবে এই যে আপনাদের নেতৃত্ব দেবার আকাঙ্ক্ষা, নমিনেশন না পেলেও যেনো এটা হারিয়ে না যায়। এটা কিন্তু ধরে রাখতে হবে। এটা ধরে রেখেই নিজের স্থানটা নিজের করে নিতে হবে। একেবারে জনগণের কাছে, তৃণমূলে গিয়ে তাদের আস্থা বিশ্বাস অর্জন করতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা সব সময় অত্যাচার নির্যাতন সহ্য করেছে। জেল—জুলুম সব সহ্য করেই ক্ষমতায় এসেছি। জীবনের হুমকি ছিল বারবার। লক্ষ্য ছিল, যুদ্ধ করে বিজয় অর্জন করা এ দেশকে সম্মানের জায়গায় নিয়ে যাওয়া। আজ তা অর্জন করেছি।’
তিনি বলেন, ‘কাউকে অবহেলা করে নয়, সমাজটাকে টেনে তুলতে হলে সবাইকে সমান সুযোগ দিতে হবে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা চাই আমাদের দেশটা আরও সামনের দিকে এগিয়ে যাক।’
