নিজস্ব প্রতিবেদক : যশোরে অভিনব কায়দায় নকল সোনা দেখিয়ে আসল সোনা নিয়ে চম্পটের মামলায় আট প্রতারকের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দিয়েছে পুলিশ।
আসামিরা হলেন, খুলনা জেলার রুপসা উপজেলার হাজীবাড়ি গ্রামের সুলতান হাওলাদারের ছেলে সেলিম হাওলাদার, হরিণটানা গ্রামের মুছা খানের ছেলে বাবু খান ওরফে কালা বাবু, মাস্টারপাড়ার মান্নান শেখের ছেলে মেহেদী হাসান, সোনাডাঙ্গার আবুল সরদারের ছেলে জাহাঙ্গীর, যশোর শহরের ঘোপ সেন্ট্রাল রোডের মৃত গণি মিয়ার ছেলে লিটন মিয়া এবং তদন্তে প্রাপ্তরা হলেন খুলনার গোবরচাকার মৃত আক্কাস আলীর ছেলে জাহাঙ্গীর হাওলাদার, ভোলা জেলার ধনিয়া বাজার গ্রামের মৃত মোকছেদ হাওলাদারের ছেলে খালেক হাওলাদার ও যশোর বিরামপুরের মোতালেব মোল্লার ছেলে আব্দুল্লাহ।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কোতোয়ালি থানার এসআই হেলাল উজ্জামান এ চার্জশিট জমা দেন।
মামলা সূত্রে যানা যায়, গত বছরের ১৭ জুলাই বেলা ১২ টায় যশোর শহরের পালবাড়ী হতে আসামি সেলিম হাওলাদারের অটো রিকশা ভাড়া করে নিজ এলাকায় আসছিলেন চৌরাস্তা এলাকার গৃহবধূ জোসনা খাতুন। আরবপুর এলজিইডি অফিসের সামনে পেঁৗছালে রিকশা চালক সেলিম রিকশা থেকে নেমে রাস্তা থেকে একটি কাগজের টুকরা তুলে জোসনার হাতে দেন। কি আছে তাতে সেটা দেখতে বলেন। এসময় জোসনা মোড়ানো কাগজখুলে একটি সোনার মত দেখতে একটি বার দেখতে পান। সাথে একটি সোনার দোকানের ক্যাশমেমোও ছিলো সেখানে লেখা ছিলো তিনভরি সোনা রয়েছে ওই বারে। এমন সময় অন্য আসামিরাও সেখানে চলে আসে। পরে জোসনাকে বলা হয়, ওই বার রেখে দেন ও রিকসাচালককে কিছু টাকা দিয়ে দেন। জোসনা প্রলোভনে পড়ে যান।
পরে তার কাছে টাকা না থাকায় সে নিজের কাছে থাকা সোনার বালা, চেইন, ও কানেরদুলসহ প্রায় দুই ভরি সোনার গহনা তাদেরকে দিয়ে দেন। আসামিরা সেসব সোনা নিয়ে চম্পট দেয়। পরে জোসনা ওই সোনার বার যাচাই করে দেখেন তা সোনার না, পিতলের। পরবর্তীতে গত বছরের ১০ সেপ্টেম্বর দড়াটানা এলাকায় ফের সেলিমকে দেখতে পান জোসনা। পরে আশপাশের লোকজন ডেকে তাকে ধরে পুলিশে সোপর্দ করেন। এ ঘটনায় মামলার পর তদন্ত কর্মকর্তা বিষয়টি তদন্ত করে ঘটনার সাথে জড়িতদের শনাক্ত করে আদালতে চার্জশিট জমা দেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কোতোয়ালি থানার এসআই হেলাল উজ্জামান জানান, আসামিরা আন্তঃজেলা প্রতারক চক্রের সক্রিয় সদস্য। তারা বিভিন্ন জেলায় অবস্থান নিয়ে অভিনব কায়দায় এ প্রতারণা করে থাকেন।