কনিজস্ব প্রতিবেদক : পেঁয়াজ আমদানির খবরে প্রভাব পড়েছে যশোরের বাজারে। একদিনের ব্যবধানে কেজিতে ১০ থেকে ১৫ টাকা দাম কমেছে। একদিন আগেও খুচরা প্রতিকেজি পেঁয়াজ একশ’ টাকা বিক্রি হলেও সোমবার তা বিক্রি হচ্ছে ৮৫-৯০ টাকায়। তবে ক্রেতারা পেঁয়াজ কম কিনছেন বলে জানিয়েছেন বিক্রেতারা। আমদানিকৃত পেঁয়াজ বাজারে আসলে দাম আরও কমবে-এই অপেক্ষায় রয়েছেন ক্রেতারা। সোমবার দুপুরে যশোরের বড়বাজার ঘুরে এই চিত্র চোখে পড়েছে।
যশোরের বড়বাজারে একদিন আগেও প্রতিকেজি পেঁয়াজ পাইকারি ৯০ টাকায় এবং খুচরা একশ’ টাকায় বিক্রি হয়েছে। সোমবার বাজারে পাইকারি ৮০ টাকা এবং খুচরা ৮৫-৯০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
যশোর বড় বাজারের পাইকারি পেঁয়াজ বিক্রেতা দেবাশীষ রায় জানান, আজ (সোমবার) পেঁয়াজ বিক্রি করেছি ৮০ টাকা কেজি দরে। তবে পেঁয়াজ কিনছে না ক্রেতারা।
এলসির পেঁয়াজ বাজারে আসার আগেই কম টাকায় পেঁয়াজ বিক্রি করতে হচ্ছে। কারণ ওই পেঁয়াজ আসলে আরো দাম কমতে পারে। আরেক পাইকারি পেঁয়াজ বিক্রেতা শহিদুল ইসলাম জানান, আজ ৮০ টাকায় পেঁয়াজ বিক্রি করতে হয়েছে। এর আগে ৯০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হয়েছে।
বড় বাজারের খুচরা পেয়াজ বিক্রেতা জয় অধিকারী জানান, রোববার পেঁয়াজ বিক্রি করেছি ১শ’ টাকা কেজি । আজ (সোমবার) সেই পিয়াজ ৯০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করতে হচ্ছে। প্রতি কেজিতে ১০ টাকা করে কম। ইন্ডিয়া থেকে পেয়াজ আসবে। এজন্যই পেঁয়াজের দাম কমে গেছে।
বড়বাজারের খুচরা বিক্রেতা আব্দুল মজিদ মনা জানান, আজ (সোমবার) পাইকারিভাবে পেঁয়াজ কিনেছি ৮০ টাকা দরে। বিক্রি করছি ৮৫-৯০ টাকা কেজি করে। আর আগেরদিন পাইকারি কিনতে হয়েছিল ৯০ টাকা কেজি। আর খুচরা বিক্রি করছিলাম ১শ’ টাকা করে। তবে যা শুনছি বাজার আরো কমতে পারে।
খুচরা বিক্রেতা ত্রিনাথ সাহা জানান, আজ ৯০ টাকা কেজি দরে পেঁয়াজ বিক্রি করছি। গতকাল বিক্রি করেছি ১০০ টাকা করে। শুনতে পাচ্ছি এলসির পিঁয়াজ আসবে। আর এ কারণে দাম কমে গেছে। তারপরও পেঁয়াজের বেচাকেনা নেই।
খুচরা ক্রেতা গৃহিনী পারভিনা আক্তার জানান, আধা কেজি পেঁয়াজ কিনেছি ৪৫ টাকা করে। পেঁয়াজের দাম কয়েকদিন আগে ৬০-৬৫ টাকা করে কেজি ছিল। কয়েক দিনের ব্যবধানে দাম বেড়েছে। শুনছি পেয়াজ আমদানি হবে। পেঁয়াজের দাম আরো কমতে পারে এজন্যই কম করে নিয়েছি।
খুচরা ক্রেতা ইকবাল কবির জানান, পেয়াজের দাম আরো কম হতে পারে। যার কারণে কম করে নিয়েছি। পেয়াজের দাম কমলে বেশি করে কিনবো।