সমাজের কথা ডেস্ক : আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তানের জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। নির্বাচনের মাত্র এক মাস আগে তা পেছানোর একটি প্রস্তাব পাস হয়েছে। শুক্রবার দেশটির সংসদের উচ্চকক্ষ সিনেটে এ প্রস্তাব পাস হয়।
পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম ডনের খবরে বলা হয়, পাকিস্তানের অন্তর্বর্তীকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের তথ্যমন্ত্রী মুর্তজা সোলাঙ্গি এবং পিএমএলের (এন) সিনেটর আফনান উল্লাহ খান এই প্রস্তাবের বিরোধিতা করেছেন। স্বতন্ত্র সিনেটর দিলওয়ার খান মাত্র ১৪ জন আইনপ্রণেতার উপস্থিতির অধিবেশনে এই প্রস্তাবটি উত্থাপন করেন। পাকিস্তানের সংসদের উচ্চকক্ষে মোট ১০০ জন সদস্য রয়েছেন।
দিলওয়ার প্রস্তাবটি পাঠের সময় বলেন, ‘সংবিধান পাকিস্তানের প্রতিটি নাগরিকের ভোট দেওয়ার অধিকার রেখেছে। পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশন সব অঞ্চলের মানুষের অংশগ্রহণ নিশ্চিতপূর্বক অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন করতে বাধ্য।’
তিনি বলেন, ‘পাকিস্তানের অত্যন্ত শীতপ্রবণ এলাকায় হালকা নাতিশীতোষ্ণ আবহাওয়ার সময়ে ভোটের হার উল্লেখযোগ্যভাবে বেশি থাকে। বেলুচিস্তান ও খাইবার পাখতুনখাওয়ার বেশির ভাগ অঞ্চলে জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি সবচেয়ে শীতলতম মাস।’
দিলওয়ার বলেনন, ‘বিভিন্ন রাজনৈতিক দল শীতলতম এলাকায় জানুয়ারি—ফেব্রুয়ারি মাসে নির্বাচনী কার্যক্রম চালাতে ও ভোটারদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত নিয়ে আপত্তি প্রকাশ করেছে।’
তিনি জমিয়ত উলামায়ে ইসলামের (এফ) প্রধান ফজলুর রহমান, সাবেক আইনপ্রণেতা মহসিন দাওয়ার এবং অন্যান্য রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বদের ওপর হামলার সাম্প্রতিক প্রচেষ্টা নিয়ে ‘গভীর উদ্বেগ’ প্রকাশ করেছেন।
উল্লেখ্য, সিনেটে যে প্রস্তাব পাস হয়েছে তা পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশন মানতে বাধ্য নয়। অর্থাৎ কমিশন তা মেনে নির্বাচনের নতুন তারিখ ঘোষণা করতে পারে আবার ঘোষিত তারিখেই ভোটগ্রহণ করতে পারে।