পর্যাপ্ত বিশ্রাম, ঘুম আর খাওয়া দাওয়ার অভাব হলে ক্লান্তিবোধ হওয়াটা অস্বাভাবিক কিছু নয়। অতিরিক্ত কাজের চাপেও এমন হতে পারে। কিন্তু প্রায়ই ক্লান্তিবোধ হওয়াটা অস্বাভাবিক বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
কাজের চাপেই ক্লান্ত হয়ে পড়ছে শরীর, বিশ্রাম নিলেই আবার চাঙ্গা হয়ে উঠবেন, এই ভাবনাই থাকে অনেকের। কিন্তু সমস্যাটির শিকড় থাকতে পারে আরও গভীরে। মেয়েদের তো বটেই, ছেলেদের রক্তে আয়রনের ঘাটতিও এখনকার দিনে বড় সমস্যা।
রক্তে আয়রনের অভাব থেকে পরে তৈরি হতে পারে নানা শারীরিক জটিলতা। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে, দেহে আয়রনের অভাব ঘটছে— এই ব্যাপারটা প্রাথমিক ভাবে বুঝতে পারেন না অনেকেই। তবে কিছু লক্ষণ দেখে সহজেই তা নির্ধারণ করা যায়। কোন লক্ষণগুলি দেখে বুঝবেন, শরীরে আয়রনের ঘাটতি রয়েছে?
১. ক্লান্তি
ক্লান্তি হল শরীরে আয়রনের ঘাটতির অন্যতম বড় লক্ষণ। সময় মতো খাওয়াদাওয়া, বিশ্রাম নেওয়া, পর্যাপ্ত ঘুমানোর মতো দৈনন্দিন কার্যকলাপগুলি স্বাভাবিক থাকা সত্ত্বেও অতিরিক্ত ক্লান্তি ঘিরে ধরলে সতর্ক হতে হবে। শরীরে আয়রনের ঘাটতি থাকলে এমন হতে পারে। আয়রনের ঘাটতি ঘটলে শরীরের প্রতিটি অঙ্গের কোষে কোষে পর্যাপ্ত অক্সিজেন পৌঁছায় না। ফলে মাঝে মাঝেই ক্লান্ত লাগে।
২. অক্সিজেনের ঘাটতি
শরীরে আয়রনের পরিমাণ কম গেলে মস্তিষ্ক —সহ শরীরের বিভিন্ন অংশে অক্সিজেনের ঘাটতি দেখা দেয়। মস্তিষ্কে অক্সিজেনের অভাবে মাথা ঘোরা, মাথা ব্যথা, শারীরিক অস্বস্তি হয়। এমনকি ঋতুস্রাব চলাকালীন মহিলাদের মধ্যে মাইগ্রেনের সমস্যাও দেখা দিতে পারে
৩. নখ ভেঙে যাওয়া
নখ একটু বড় হতে না হতেই ভেঙে যায়? আয়রনের অভাব হলে এমনটা হতে পারে। আয়রন নখের যত্ন নেয়। তবে স্বাভাবিকের তুলনায় আয়রনের পরিমাণ শরীরে হ্রাস পেলে নখ দুর্বল হয়ে ভেঙে যেতে পারে।
৪. ফ্যাকাশে ত্বক
শরীরের সব কোষে রক্ত পরিবহনের জন্য আয়রন চাই। আয়রনের ঘাটতি থাকলে দেহের কোষগুলিতে রক্ত সমান ভাবে পৌঁছায় না। রক্তের অভাবে ত্বক অনেক সময় ফ্যাকাশে ও বিবর্ণ হয়ে পড়ে। জেল¬া চলে যায়। এই উপসর্গকে রক্তাল্পতার লক্ষণ বলেও ধরা হয়।
৫. বুকে ব্যথা
আয়রনের অভাবে শরীরের সব অংশে অপর্যাপ্ত অক্সিজেন সরবরাহের কারণেই মূলত বুকে ব্যথা হয়। এর ফলে শ্বাস নিতেও অসুবিধা হয়। উচ্চ রক্তচাপ বা হৃদ্রোগ সংক্রান্ত কোনও সমস্যা না থাকলেও ঘন ঘন বুকে ব্যথা হলে আয়রনের অভাব আছে ধরা যেতে পারে।