সমাজের কথা ডেস্ক : সোমালি জলদস্যুতের হাত থেকে মুক্তি পাওয়া বাংলাদেশি পতাকাবাহী জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ের আল হামরিয়াহ বন্দরে পৌঁছেছে। রবিবার (২১ এপ্রিল) বিকেল ৪টা ৩ মিনিটে (বাংলাদেশ সময়) আল হামরিয়াহ বন্দরে পৌঁছে জাহাজটি।
এমভি আবদুল্লাহ বন্দরে বহিঃনোঙ্গরে পৌঁছানোর কথা স্বীকার করেছেন জাহাজ কোম্পানির মালিক প্রতিষ্ঠান কেএসআরএম’র প্রধান নির্বাহী মেহেরুল করিম। তিনি বলেন, জাহাজটি বন্দরের বহির্নোঙরে অবস্থান করছে। আজ রাতেই জেটিতে বার্থিং করতে পারে।
আগের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী দুজন নাবিক বিমানযোগে বাংলাদেশে ফিরবেন। এ ছাড়া বাকি ২১ নাবিক জাহাজেই ফিরবেন। সেখানে মালিকপক্ষের টিম গিয়ে নাবিকদের সঙ্গে কথা বলা হবে বলে জানা গেছে।
মেহেরুল করিম বলেন, ‘আগে ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের যে জাহাজ দুটি আমাদের পাহারা দিয়ে নিয়ে এসেছিল তারাই গতি নির্ধারণ করে দিয়েছিল। সোমালিয়ান এলাকা পার হওয়ার পর গতি বাড়িয়ে স্বাভাবিক গতিতে চলার জন্য নির্দেশনা দিলে আমরা এখন সর্বোচ্চ ১২ নটিক্যাল মাইল গতিতে জাহাজ চালানো হয়েছে। আর তাই একদিন আগেই (২১ এপ্রিল) দুবাই বন্দরে পৌঁছলো এমভি আবদুল্লাহ। সেখানে জাহাজে থাকা ৫৫ হাজার টন খালাসের পর জাহাজটি চট্টগ্রাম বন্দরের উদ্দেশ্যে যাত্রা করবে।’
জাহাজটি চট্টগ্রামে কবে পৌঁছাতে পারে? এমন প্রশ্নের জবাবে মেহেরুল করিম বলেন, দুবাইয়ে মালামাল খালাস করে ১০ থেকে ১২ মে এর মধ্যে চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছতে পারে।
এদিকে কোন দুই জন চলে আসবে তা জাহাজ মালিক কর্তৃপক্ষ জানায়নি। তবে অপর এক সূত্রে জানা যায়, সেকেন্ড অফিসার মোজাহেরুল ইসলাম চৌধুরী ও স্টুয়ার্ড মোহাম্মদ নুর উদ্দিন দুবাই এ জাহাজ থেকে নেমে যাবেন। তারা উভয়ে বিমানে করে চট্টগ্রামে আসবেন।
এ বিষয়ে কথা হয় মোহাম্মদ নুর উদ্দিনের স্ত্রী জান্নাতুল ফেরদৌসের সাথে। তিনি বলেন, ‘আমার স্বামী মানসিকভাবে অসুস্থবোধ করছেন। জাহাজে আপাতত কাজ করতে চাচ্ছেন না। তাই তিনি এখন নেমে যেতে চাইছেন। এখন ভিসা পেলে হয়তো বিমানে আসতে পারবেন।’
গত ১৩ এপ্রিল ভোর ৩টায় সোমালিয়ান দস্যুদের কাছ থেকে মুক্তি পায় এমভি আবদুল্লাহ ও ২৩ নাবিক। দস্যুদের ৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মুক্তিপণ হিসেবে দেওয়া হয়েছে আন্তর্জাতিক বিভিন্ন গণমাধ্যম দাবি করেছে।