১৮ই মে ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৪ঠা জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
দফা দাবিতে যশোরে অবস্থান কর্মসূচি

নিজস্ব প্রতিবেদক : নদী তট আইন অনুযায়ী নদীর সীমানা নদীকে ফিরিয়ে দেয়ার দাবিসহ পাঁচ দফা দাবিতে যশোরে অবস্থান কর্মসূচি ও দাবি বাস্তবায়নে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে।

মঙ্গলবার দুপুরে কালেক্টরেট চত্বরে ভৈরব নদ সংস্কার আন্দোলন, ভবদহ পানি নিষ্কাশন সংগ্রাম কমিটি, কপোতাক্ষ, মুক্তেশ্বরী ও চিত্রা বাঁচাও আন্দোলন কমিটির যৌথ উদ্যোগে ঘণ্টাব্যাপী এ কর্মসূচি পালিত হয়। স্মারকলিপি গ্রহণ করেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবরাউল হাছান মজুমদার।

দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে— উজানে মাথাভাঙ্গা—ভৈরব নদ সংযোগ দ্রুত বাস্তবায়ন, হাইকোর্টের জারিকৃত রুল অমান্য করে ভৈরবের উপর ব্রিজ নির্মাণ কাজ বন্ধকরণ এবং কপোতাক্ষ, চিত্রা, বেতনা, মুক্তেশ্বরী, হরিহরসহ নদীর উপর অপরিকল্পিত সংকীর্ণ সেতু অপসারণ ও নির্মাণ বন্ধকরণ, ভবদহ সমস্যার স্থায়ী সমাধানের লক্ষ্যে বিল কপালিয়াসহ বিলে বিলে টিআরএম চালুকরণ।

অবস্থান কর্মসূচিতে সভাপতিত্ব করেন বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রবীণ সাংবাদিক রুকুনউদ্দৌলাহ। বক্তব্য রাখেন নদী বাঁচাও আন্দোলনের উপদেষ্টা ইকবাল কবীর জাহিদ, অ্যাড. আবুল হোসেন, অ্যাড. মাহমুদ হাসান বুলু, আনিচুর রহমান, অ্যাড. আমিনুর রহমান হীরু, নদী বাঁচাও আন্দোলনের নেতা তসলিম—উর— রহমান, মিজানুর রহমান, অনিল বিশ্বাস, আব্দুর রহিম, মোবাশ্বের হোসেন বাবু, নাসির আহমেদ প্রমুখ। সঞ্চালনা করেন ভৈরব নদ সংস্কার আন্দোলনের সদস্য সচিব জিল্লুর রহমান ভিটু।

বক্তারা বিভিন্ন অনিয়ম তুলে ধরে মাথাভাঙ্গা—ভৈরব নদ, নদী সংযোগ, নদীর উপর নীতিমালা লঙ্ঘন করে সেতু নির্মাণ বন্ধ, নদী সংস্কারে দুর্নীতি— অনিয়ম বন্ধ ও ভবদহ সমস্যার স্থায়ী সমাধানে প্রধানমন্ত্রীর জরুরি হস্তক্ষেপ দাবি জানান।

স্মারকলিপিতে বলা হয়েছে প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুত ভৈরব নদ সংস্কারে ২৭২ কোটি ৮১ লাখ ৫৪ হাজার টাকার গৃহীত প্রকল্প গত জুন মাসে পানি উন্নয়ন বোর্ড সমাপ্তি ঘোষণা করেছে। সংস্কার কাজে নদীতট আইন মানা হয়নি, যথাযথভাবে অবৈধ দখলদার উচ্ছেদ করা হয়নি, নদী খননের মাটি নদীগর্ভে ফেলা হয়েছে, গভীরতা নিশ্চিত না করে খননে ব্যাপক দুর্নীতি—অনিয়ম সংঘটিত হয়েছে। নদী খালে পরিণত হয়েছে। নাব্যতা ও নৌ—চলাচলের উপযোগী করার লক্ষ্য অর্জিত হয়নি। সে খবর জাতীয় ও স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। এই সত্যকে আড়াল করার জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ড যশোর শহরের দড়াটানায় নদীতটের মধ্যে পার্ক নির্মাণ করেছে। যা নদীতটের অবৈধ দখলদারদের দখলদারিত্বকে যুক্তি সিদ্ধ করেছে।

সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছিল, ৫২টি ব্রিজ নৌ—চলাচলের উপযোগী করে পুনঃনির্মাণ করা হবে। দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য ভৈরবের উপর যশোর সদর উপজেলার দাইতলা, ছাতিয়ানতলা ও রাজারহাটে ৩টি ব্রিজ নির্মাণে ‘বিআইডব্লিউটিএ’ এর আপত্তি উপেক্ষা ও সরকারি নীতিমালা লঙ্ঘন করে নির্মাণ করছে। এমনকি ওই কাজে হাইকোর্টের জারিকৃত রুল অমান্য করে নির্মাণ কাজ অব্যাহত রেখেছে। বক্তারা এসব অনিয়মের সাথে জড়িতদের বিচারের দাবি জানান।

সম্পাদক ও প্রকাশক : শাহীন চাকলাদার  |  ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক : আমিনুর রহমান মামুন।
১৩৬, গোহাটা রোড, লোহাপট্টি, যশোর।
ফোন : বার্তা বিভাগ : ০১৭১১-১৮২০২১, ০২৪৭৭৭৬৬৪২৭, ০১৭১২-৬১১৭০৭, বিজ্ঞাপন : ০১৭১১-১৮৬৫৪৩
Email : samajerkatha@gmail.com
পুরাতন খবর
FriSatSunMonTueWedThu
 12
3456789
10111213141516
17181920212223
24252627282930
31 
স্বত্ব © samajerkatha :- ২০২০-২০২২
crossmenu linkedin facebook pinterest youtube rss twitter instagram facebook-blank rss-blank linkedin-blank pinterest youtube twitter instagram