এস হাসমী সাজু : যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের প্যাথলজি ল্যাবে আগামী সপ্তাহ থেকে চালু হবে ডোপ টেস্ট। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডাক্তার হারুন অর রশিদ। স্বল্প সময়ে হাসপাতালে ডোপ টেস্ট চালু হলে সেবা প্রার্থীদের ভোগান্তি কমবে বলে জানান তিনি।
চাকরি প্রত্যাশী ও পেশাদার চালকদের লাইসেন্স প্রাপ্তির জন্য বাধ্যতামূলক ডোপ টেস্ট। এদিন বেসরকারি হাসপাতালে উচ্চ ফি দিয়ে ডোপ টেস্ট করতেন সেবা প্রার্থীরা।
হাসপাতালের প্রশাসনিক সূত্রে জানা গেছে, সরকারি নির্দেশনা অনুয়ায়ী সরকাররি ও বেসরকারিসহ বিভিন্ন চাকুরিতে চুড়ান্ত নিয়োগের ক্ষেত্রে এবং গাড়ির চালকদের লাইসেন্স প্রাপ্তি ক্ষেত্রে মাদকাসক্ত নির্ণয়ে জন্য ডোপ টেস্ট বাধ্যতামূলক।
আরও পড়তে পারেন : এবারও দেশসেরা যশোর জেনারেল হাসপাতাল
যশোরে প্রথম দিকে যশোর মেডিকেল কলেজে অস্থায়ী ভাবে ডোপ টেস্টে চালু হয়। কিছু দিন চলার পরে সরকারি ভাবে ডোপ টেস্টের কিট সরবরাহ না থাকায় ওই প্রতিষ্ঠানে ডোপ টেস্ট বন্ধ হয়ে যায়।
তখন চাকরি প্রত্যাশী ও পেশাদার ও অপেশাদার চালকরা পড়েন বিপাকে। পরে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ চাকুরী প্রত্যাশীদের ও চালকদের দুর্ভোগ লাঘবের জন্য বেসরকারি ক্লিনিক ইবনে সিনা ও সানরাইজে ডোপ টেস্ট চালু করে।
বেসরকারি হাসপতালে এক হাজার ৫শ থেকে ২ হাজার টাকা পর্যন্ত ফি নেয়া হয়। সরকারি হাসপাতালে ডোপ টেস্টে চালু হলে চাকুরী প্রত্যাশী ও চালকরা স্বল্প মূল্যে পরীক্ষা করতে পারবে।
এ ব্যাপারে হাসপাতালে বেসরকারি অ্যাম্বুলেন্স চালক রাকিবুল হাসান বলেন, সরকার ডোপ টেস্ট বাধ্যতামূলক করার পর থেকে যশোরে বেসরকারি ভাবে পরীক্ষা করাতে গিয়ে ভোগান্তি পোহাতে হয়।
অতিরিক্ত টাকা ব্যয়ের পাশাপাশি অনেক হয়রানির মধ্যে পড়তে হয়েছে। আগামী সপ্তাহ থেকে জেনারেল হাসপাতালে হাতের কাছে সরকারি খরচে ডোপ টেস্টের সুযোগ সুযোগ পাওয়া গেলে টাকা সাশ্রয় হবে, হয়রানী কমবে।
হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাক্তার পার্থ প্রতিম চক্রবর্তী জানান, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে সরকারি নিদের্শনা এবং কিট ক্রয়ের জন্য ৫লাখ টাকা বরাদ্দ পাওয়া পর হাসপাতালে ডোপ টেস্টের কার্যক্রম শুরু করা হচ্ছে।
স্থানীয় পর্যায়ে কোটেশনের মাধ্যমে ডোপ টেস্টের কিট ক্রয়ের জন্য টেন্ডার কার্যক্রম ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে। চলতি সপ্তাহের বুধ ও বৃহস্পতিবারে হাসপাতালের স্টোরে কিট চলে আসবে। পরে শনিবার থেকে আনুষ্ঠানিক ভাবে ডোপ টেস্ট চালু করা সম্ভব হবে।
হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডাক্তার হারুন অর রশিদ বলেন, সরকারি হাসপাতালে ডোপ টেস্টের ব্যবস্থা হলে আর বেসরকারি ডায়াগনস্টিক সেন্টারে অতিরিক্ত টাকা ব্যয়ে পরীক্ষা করাতে হবে না সেবা গ্রহিতাদের।
তিনি আরও বলেন, ডোপ টেস্টের মূল্য নির্ধারনের জন্য একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ি ডোপ টেস্টের মূল্য পরিশোধ করে পরীক্ষা করতে পারবে।