নিজস্ব প্রতিবেদক: যশোর হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের ডিএইচএমএস পরীক্ষায় নকলের উৎসব চলছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে শিক্ষকরাও এর সাথে জড়িত রয়েছে বলেও অভিযোগকারীদের দাবি। এর মধ্যে কলেজের সহকারী অধ্যাপক আবুল হাশেমের বিরুদ্ধে টাকার বিনিময়ে পরীক্ষার্থীদের নকল সরবরাহেরও অভিযোগ পাওয়া গেছে। তবে তিনি এ অভিযোগ অস্বীকার করলেও কলেজ অধ্যক্ষের বক্তব্যে ছিল ভিন্ন সুর।
যশোর শহরের আরএন রোডে অবস্থিত হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে গতকাল শুক্রবার থেকে শুরু হয়েছে ডিএইচএমএস এর সকল বর্ষের ফাইনাল পরীক্ষা। সকালে প্রথম ও তৃতীয় বর্ষের ফাইনাল পরীক্ষায় মোট ৩১০ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষা দেন এবং বিকেলে দ্বিতীয় ও চতুর্থ বর্ষের পরীক্ষায় ২৮৪ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষা দেন। পরীক্ষা চলবে ২ ডিসেম্বর পর্যন্ত।
এদিকে, কলেজটির সহকারী অধ্যাপক ডাক্তার আবুল হাশেমের সহযোগিতায় পরীক্ষার্থীরা নকলের মাধ্যমে পরীক্ষা দিয়ে আসছেন বলে অনেক শিক্ষার্থী ও শিক্ষক অভিযোগ করেন। এছাড়াও তিনি টাকার বিনিময়ে অনিয়মিত শিক্ষার্থীদের ফরম পূরণের সুযোগ ও পরীক্ষার সময় তাদের দিকে বিশেষ নজর দেন বলেও অভিযোগ উঠেছে।
অভিযোগের ব্যাপারে জানতে চাইলে ডাক্তার আবুল হাশেম বলেন, এ সব অভিযোগ উদ্দেশ্য প্রণোদিত। তাকে বিপদে ফেলার জন্যে একটি মহল ষড়যন্ত্র করছে।
এ বিষয়ে কলেজটির অধ্যক্ষ ও কেন্দ্র সচিব ডাক্তার হাফিজুর রহমান বলেন, ওই শিক্ষকের অনেক অনুগত শিক্ষার্থী থাকতে পারে। তাদের সুযোগ—সুবিধা দিতে পারেন, তবে বিষয়টি তার জানা নাই। তিনি এ বিষয়টা দেখবেন। তিনি আরও বলেন, অনেকের ডাক্তারি পাসের সার্টিফিকেট নাই আবার ডাক্তারি করেন, আবার বয়স্ক অনেকেই অন্য চাকরি করেন। অবসরে গিয়ে প্রাকটিস করবেন। এ সব শিক্ষার্থী অনেক সময় বিভিন্ন শিক্ষককে ম্যানেজ করে সুযোগ—সুবিধা নেন।