মনিরুজ্জামান মনির : দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রচারণা শুরুর তিন দিনেই উৎসবের রূপ পেয়েছে গোটা যশোর। পৌষের শীত উপেক্ষা করে গভীর রাত পর্যন্ত চলছে জমজমাট প্রচারণা। প্রার্থী ও সমর্থকরা ঘুরছেন নির্বাচনী এলাকায়। কখনো বড় পরিষরে কখনো ছোট ছোট দলে চলছে ভোট প্রার্থনা। ভোটারও সুযোগ পেলে মেতে উঠছে প্রার্থী বিশ্লেষণে।
চারিদিকে ঝুলছে পোস্টার। সাদাকালো পোস্টারে নৌকা প্রতীকই চোখে পড়ছে বেশি। মাঝে মাঝে অন্যান্য প্রতীকও দেখা যাচ্ছে। তবে ভোটারদের মূল আগ্রহ নৌকাতেই। পাশাপাশি চলছে নির্বাচনী কার্যালয় উদ্বোধন। দুপুর থেকে রাত পর্যন্ত চলছে মাইকিং। যশোরের বিভিন্ন নির্বাচনী এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, প্রতিটি মোড়ে চায়ের দোকানে চলছে নির্বাচনী আড্ডা। ভোটারদের দ্বারে দ্বারে ভোট চাচ্ছেন প্রার্থীর সমর্থকরা। চলছে ভোটের চা বিতরণ। লিফলেট বিতরণের মাধ্যমে চলছে ভোট প্রার্থনা। প্রার্থীরা পথে পথে করছে পথসভা।
লেবুতলা ইউনিয়নের ভোটার শওকত আলী বলেন, ভোটের আনন্দই আলাদা। ভোটের প্রচার শুরু হয়েছে। আমরা সবসময় উন্নয়নের পক্ষে।
চুড়ামনকাটির ভোটার সাইদুর রহমান বলেন, এবার যেভাবে ভোট শুরু হয়েছে তাতে সুষ্ঠ, সুন্দর ও নিরপেক্ষ হবে বলে আমরা আশাবাদি। আমরা পছন্দের প্রার্থীকেই ভোট দেবো।
মণিরামপুর ঝাঁপা ইউনিয়নের ভোটার বরুণ দে বলেন, এলাকায় ভোটের মাইকিং করা হচ্ছে। দুপুর থেকে রাত পর্যন্ত মাইকিংয়ে চলছে ভোটের গান। মজা লাগছে।
চৌগাছা উপজেলার ধুলিয়ানী ইউনিয়নের রনক হাসান মোমিত বলেন, এবার নতুন ভোটার হয়েছি। ভোট দেবার জন্য অধিআগ্রহে বসে আছি। গত ১৫ বছরের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিতে অনেক আগিয়ে নিয়েছেন। আমি উন্নয়নের এ ধারা অব্যহত রাখার পক্ষে।
পাশাপোল ইউনিয়নের কৃষক আবুজার বিশ্বাস বলেন, ভোট এলে আমাদের মত মানুষের সম্মান বাড়ে। মনে হয় বারো মাস ভোট থাকুক। সবাই সালাম দেই, ভালোমন্দ জানতে চায়, শুনতেই ভালো লাগে।
বাঘারপাড়া উপজেলার শিমুল হোসেন বলেন, এসরকারে আমলে পদ্মা সেতু হওয়ায় কৃষি পন্য বেশি দামে বিক্রি করতে পারছি। উন্নয়নকে ধরে রাখার জন্য এ সরকারকে আবারও বিজয়ী করতে হবে।
ভোটারদের প্রত্যাশা কোন সহিংসতা নয় সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে চলুক প্রচার প্রচারণা। ভোট উৎসবে মেতে থাক সবাই।