২৮শে এপ্রিল ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১৫ই বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
ছাত্র ছাত্রীরা খরিদ্দার!
74 বার পঠিত

রাজীব কুমার দাশ : নামেমাত্র কোচিং সেন্টার। আড়ালে চলে বিভিন্ন নামী দামী স্কুলে ভর্তি বাণিজ্য সিণ্ডিকেট প্রক্রিয়া। কোচিং সেন্টারের মালিকরা ম্যাঙ্মিাম দুর্নীতিগ্রস্ত। কেউ ছিলেন মামলার আসামী। কেউ কেউ চরম লোভী প্রতারক মিথ্যুক চাকরিচ্যুত শিক্ষক। একসময় তারা খেতে পেতেননা ঠিকমতোন। বাসা কিংবা গুদামঘর ভাড়া নিয়ে তারা সরকারকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে এমন অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছেন দিনের পর দিন। রাতারাতি মেডিকেল, বিশ্ববিদ্যালয়, সেরা কলেজ, বিসিএস ক্যাডেট কলেজে ভর্তি, এমনকী সরকারী চাকরী পাইয়ে দেবার চটকদার অনৈতিক বিজ্ঞাপন দিয়ে অসহায় জনতার পকেট কেটে কোচিং সেন্টারের আড়ালে নিজেদের পকেট ভারী করে চলেছেন দিনের পর দিন।

আমার চেনা জানা কয়েকজন নামকরা স্কুলের শিক্ষক একসময় রিকশা সিএনজি করে স্কুলে যেতেন; তাদের হাতে এখন দামি গাড়ির স্টিয়ারিং। স্কুলে ভর্তি বাণিজ্য করে এদের কেউ কেউ ধরা পড়েন। কেউ চাকরি খুইয়ে কোচিং সেন্টার দিয়েছেন। এখন তাদের হাতে রয়েছে আলিশান বাড়ি গাড়ি ফ্ল্যাট প্লট নির্মাণ ব্যবসা ঢাকার মোহাম্মদপুর মীরপুর চট্টগ্রাম। তারা হন মিষ্টিভাষী চরম ধূর্ত বিনয় সন্ত্রাসী প্রতারক ও ত্যান্দোড়।

উপর তলা হতে নীচতলা তাদের যাতায়াত। কিছুদিন আগেও কোটী টাকা মেডিকেল ভর্তি বাণিজ্য নিয়ে সিআইডি একাধিক কোচিং সেন্টার মালিক, তাদের হাতে গড়া ক্রীড়নক সুবিধাভোগী ভর্তি বাণিজ্য ছাত্র ডাক্তারদের তালিকা করে আইনের আওতায় আনতে সারাদেশে সাঁড়াশি অভিযান চালিয়েছেন। তারা স্কুলে ছাত্রদের ঠিকমতোন পড়াতে চান না। নামেমাত্র পড়িয়ে নিজেদের কোচিং কিংবা কমিশন নেয়া কোচিং সেন্টারে পাঠিয়ে দেন। না পড়লে বা টাকা না থাকলে পড়া না পারার অজুহাতে অন্য ছাত্রদের সামনে বিভিন্ন কায়দায় অপমান করেন দিনের পর দিন।

এক একজন ছাত্র অভিভাবক— শিক্ষক নামের এসব ভয়ঙ্কর ডাকাতদের হাতে বন্দী থাকেন। মুখ বুজে দাঁত কামড়ে সকল অনৈতিক আবদার সহ্য করেন দিনের পর দিন। সবাই সবখানে কথিত শিক্ষক নামের এসব বিদ্যাবেশ্যা ডাকাতদের স্যার বলতে হয়। নইলে এসব বিদ্যাবেশ্যা ভয়ঙ্কর ডাকাতদল মাইণ্ড করেন প্রচণ্ডরকম। অলিগলি রাস্তার মোড়ে মোড়ে এসব শিক্ষকবেশী লম্পট চরম দুর্নীতিবাজ বিদ্যাবেশ্যা ডাকাতদের — মিজান স্যার পলাশ স্যার,আব্বাসী স্যার,পলাশ কোচিং হৃদয় কোচিং, পাঠশালা কোচিং সাইবার কোচিং সেন্টার দেখতে পাবেন। এসব বিদ্যাবেশ্যারা যদি কেবলমাত্র টাকা নিয়ে ক্ষান্ত থাকতেন;

তাহলে তেমন কারোর বলার ছিলো না। সমস্যা যে কেবলমাত্র টাকার তা কিন্তু নয়। সমস্যা অন্যখানেও।

তাদের মাঝে আবার কেউ কেউ হন— পায়ু যোদ্ধা, মদ্যপ, ধর্ষক যৌনযোদ্ধা।

তারা সুকৌশলে ছাত্র ছাত্রীর সুন্দরী মা বোন খালা চাচী পেলে পড়ানোর ছলে অনৈতিক প্রস্তাবও দিয়ে বসেন। মানে তারা এখন সিণ্ডিকেট শিক্ষা ব্যবসায়ী। ছাত্র ছাত্রীরা খরিদ্দার। আমাদের কোমলমতি ছাত্র ছাত্রীরা কথিত শিক্ষকদের এসব ভণ্ডতম চরিত্র ডাকাতি লুচ্ছামি দেখে নিজেরা— কী ভাবে কোন প্রক্রিয়ায় একজন ভালো মানুষে নিজেদের গড়বেন? তা কিন্তু বেশ চিন্তার বিষয়। সৌজন্যে : বাংলাদেশ জার্নাল

লেখক: প্রাবন্ধিক ও কবি, পুলিশ পরিদর্শক, বাংলাদেশ পুলিশ। rajibkumarvandari800@gmail.com mobile: 01715027407

সম্পাদক ও প্রকাশক : শাহীন চাকলাদার  |  ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক : আমিনুর রহমান মামুন।
১৩৬, গোহাটা রোড, লোহাপট্টি, যশোর।
ফোন : বার্তা বিভাগ : ০১৭১১-১৮২০২১, ০২৪৭৭৭৬৬৪২৭, ০১৭১২-৬১১৭০৭, বিজ্ঞাপন : ০১৭১১-১৮৬৫৪৩
Email : samajerkatha@gmail.com
পুরাতন খবর
FriSatSunMonTueWedThu
 1234
567891011
12131415161718
19202122232425
2627282930 
স্বত্ব © samajerkatha :- ২০২০-২০২২
crossmenu linkedin facebook pinterest youtube rss twitter instagram facebook-blank rss-blank linkedin-blank pinterest youtube twitter instagram