সমাজের কথা ডেস্ক : জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী ফাইরোজ অবন্তিকার মৃত্যুর ঘটনায় উত্তাল জবি ক্যাম্পাস। এ ঘটনায় অভিযুক্ত সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলাম ও সহপাঠী আম্মান সিদ্দিকীর বিচার দাবি করছেন শিক্ষার্থীরা।
গতকাল শুক্রবার রাতে ফাইরোজের মৃত্যুর পরপরই ক্যাম্পাসে জড়ো হন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। পরে তারা ক্যাম্পাসে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন।
এ সময় শিক্ষার্থীরা জানান বেশ কয়েক বছর ধরে ফাইরোজকে অত্যাচার করা হচ্ছিল। এ সময় প্রশাসনের অবহেলার অভিযোগও করেন তারা। শিক্ষকদের বিরুদ্ধে এর আগেও এমন অভিযোগ করা হয়েছে। এতে কোনো ফল পাননি বলেও দাবি করেন তারা।
এদিকে, অবন্তিকার মৃত্যুতে অভিযুক্ত সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলাম ও সহপাঠী আম্মান সিদ্দিকীকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক জাহাঙ্গীর হোসেন।
এর আগে, ফেসবুকে ‘এটা সুইসাইড না এটা মার্ডার। টেকনিক্যালি মার্ডার।’ স্ট্যাটাস দিয়ে আত্মহত্যা করেন ফাইরোজ অবন্তিকা। সে বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৮—১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী।
আত্মহত্যার ঘটনায় অভিযোগ ওঠা সহপাঠীকে সাময়িক বহিষ্কার ও দ্রুত গ্রেপ্তারের নির্দেশনা দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। আজ শনিবার সকালে গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ফাইরুজ অবন্তিকার মৃত্যুতে উপাচার্য সাদেকা হালিম, কোষাধ্যক্ষ হুমায়ুন কবীর গভীর শোক ও সমবেদনা প্রকাশ করেছেন। মৃত্যুর কারণ হিসেবে তার সুইসাইড নোটে দেওয়া আইন বিভাগের সহপাঠীকে সাময়িক বহিষ্কার ও দ্রুত গ্রেপ্তারের নির্দেশ এবং অভিযুক্ত শিক্ষার্থীকে সহায়তাকারী শিক্ষককে সাময়িক বরখাস্ত ও প্রক্টরিয়াল বডি থেকে তাৎক্ষণিক অব্যাহতি প্রদান করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।