সমাজের কথা ডেস্ক : ব্রিটিশ শাসন থেকে ১৯৪৭ সালে স্বাধীনতা পায় ভারত ও পাকিস্তান। এই দুটি দেশ ভাগ হয় ধর্মের ভিত্তিতে। বাংলাদেশ তখন পাকিস্তানের অংশ। আদতে পূর্ব পাকিস্তানের ইতিহাস শিল্প সংস্কৃতির সঙ্গে পশ্চিম পাকিস্তানের কোন মিল ছিল না। বরং দুই অঞ্চলের মানুষের মধ্যে জায়গা করে নিয়েছিল সংশয় সন্দেহ।
রাষ্ট্রের ভাষা হিসেবে উর্দুকে প্রতিষ্ঠার দুরভিসন্ধি নিয়ে এগোতে থাকে পাকিস্তানের শাসকরা। কিন্তু মায়ের ভাষা বাংলা ভুলে নতুন ভাষা শেখার কথা চিন্তাও করতে পারে না বাঙালী। প্রতিবাদে তাই ফেটে পড়ে তারা। বিশেষ করে ছাত্ররা বাংলার মর্যাদা রক্ষায় সর্বোচ্চ ত্যাগের জন্য প্রস্তুত হয়।
আজ ২ ফেব্রুয়ারি। প্রধানমন্ত্রী খাজা নাজিমুদ্দীন ১৯৫২ সালের ঠিক এর পরের দিনে আবারও রাষ্ট্রভাষা উর্দু করার খায়েশের কথা জানান । ১০ দিন ধরে পূর্ব পাকিস্তানের বিভিন্ন স্থান সফর করে ৩ ফেব্রুয়ারি বিকেলে গবর্নমেন্ট হাউসে সংবাদ সম্মেলন করেন তিনি। এ সময় পাকিস্তানের নিরাপত্তা ও অখন্ডতার স্বার্থে একটিমাত্র রাষ্ট্রভাষা করার ঘোষণা পুনর্ব্যক্ত করেন।
তার বক্তব্যটি ছিল, এ রকম আমি সুস্পষ্টভাবে বলতে চাই যে, পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা উর্দু হতে চলেছে, অন্য কোন ভাষা নয়। তিনি বাংলাকে পাকিস্তানের অন্যতম রাষ্ট্রভাষা করার দাবি নাকচ করেন দেন। তবে হুঙ্কারে কোন কাজ হয় না। সংগঠিত হওয়ার তাগিদ বোধ করে বাঙালী। তারা মায়ের ভাষার মর্যাদা রক্ষার নতুন শপথ নেয়।