মনিরুজ্জামান মনির : বিভিন্ন ইটভাটার মাটিবাহী ট্রাক গ্রামীণ সড়কগুলোর জন্য হুমকী হয়ে দাঁড়িয়েছে। মাটি সংগ্রহ করতে গ্রামগঞ্জে চলাচল করা ট্রাকগুলোর অতিরিক্ত ওজনে কমছে রা¯ত্মার স্থায়িত্ব। চলাচলে রা¯ত্মায় ছড়াচ্ছে মাটি। যা গ্রীষ্মে পথচারিদের দিচ্ছে ধুলোর যন্ত্রণা। আর বর্ষা হলেই ধুলো পরিনত হচ্ছে কাঁদায়। কালো পিচের রা¯ত্মা পরিনত হচ্ছে মাটির সড়কে। কাঁদার কারনে ঝুঁকি নিয়ে চলতে হচ্ছে পথচারিদের।
গত মঙ্গলবার রাতের এক পশলা বৃষ্টির পর যশোরের প্রায় নব গ্রামীণ সড়ক রূপ বদলেছে। পিচের রা¯ত্মায় আঠালো কাঁদা। সাইকেল ভ্যানসহ ছোট ছোট যানবহন চলছে অনেকটা দায় ঠেকে। ঘটছে ছোটখাটো দুর্ঘটনাও। যশোর সদর উপজেলার নওয়াপাড়া ইউনিয়নের বাহাদুরপুর সড়কেও মিলেছে কাঁদার প্রলেব। সড়কটিতে উপশহর থেকে তেলকূপ পর্যšত্ম চলাচল করা যায়। এটি কোনভাবেই ভারী যানবহন চলাচলের উপযোগী না। এরপরেও ইট ভাটার ট্রাক সবসময় চলাচল করে। যার কারনে সড়টির এ অবস্থা দাবি করছেন স্থানীয়রা। একই অবস্থা ইছালি ইউনিয়নের হুদা গ্রামের কার্পেটিং সড়ক এবং লেবুতলা ইউনিয়নের ফুলবাড়ী গ্রামের কার্পেটিং সড়কের।
বৃহস্পতিবার বিকেলে সড়ক দুটিতে কয়েকটি সাইকেল কাঁদায় পিছলে দুর্ঘটনার শিকার হয়েছে। তারপরও সড়ক দুটিতে দুর্ঘটনার ঝুঁকি নিয়ে ভয়ে ভয়ে মোটরসাইকেল চালাচ্ছেন পথচারিরা। কাঁদার কারনে পায়ে হেটেও চলাচল করতে পারছেন না স্থানীয়রা।
বাহাদুরপুর গ্রামের মনির হোসেন জানান, ‘বৃষ্টি হলেই রা¯ত্মা দিয়ে চলাচল করা যাচ্ছে না। দায় না ঠেকলে এ রা¯ত্মায় বের হতাম না। কয়েকটি চলšত্ম মোটরসাইকেল পড়ে যেতে দেখেছি। বারো মাস এ রা¯ত্মা দিয়ে মাঠির ট্রাক চলে। আর এ মাঠি ভর্তি ট্রাক থেকে মাঠি পড়ে রা¯ত্মার এ অবস্থা।’
পথচারি মোক্তার হোসেন জানান, ‘এমন কাঁদা আগে বুঝতে পারলে এ রা¯ত্মা দিয়ে ঢুকতাম না। এ রা¯ত্মায় এসে দেখছি বড় বিপদে পড়ছি। সামনে কাঁদার পরিমাণ বেশি মনে হচ্ছে। পাকা রা¯ত্মায় যদি এমন হয় তাহলে কাঁচা রা¯ত্মায় চলা ভালো। পাকা রা¯ত্মার পাশে কাঁচা দিয়ে চলাচল করা যাচ্ছে। কিন্তু পাকা রা¯ত্মা দিয়ে চলাচল করা যাচ্ছে না। আসলে এর প্রতিকার হওয়া প্রয়োজন। তা না হলে দুর্ঘটনায় মানুষ মারাও যেতে পারে।’
পথচারি ইমরান হোসেন জানান, ‘সাইকেলে যাওয়ার পথে একবার পড়ে গেছি। কাঁদায় সাইকেলের চাকা পর্যšত্ম আটকে যাচ্ছে। পাঁকা রা¯ত্মা কিন্তু মনে হচ্ছে কাচা রা¯ত্মা।’
স্থানীয় বাসিন্দা হাফিজুর রহমান জানান, ‘এ রা¯ত্মায় গরমে ছিল ধুলা-বালি। আর এখন বৃষ্টিতে শুরম্ন হয়েছে কাঁদা। আসলে আমরা কোন দিকে যাবো। এ রা¯ত্মাটি কয়েকদিন আগে কার্পেটিং করা। কিন্তু নতুন কার্পেটিংয়ের রা¯ত্মা এখন কাঁদায় ভর্তি। এ অবস্থায় কোন ভাবে চলাচল করা সম্ভবনা। তার পরেও প্রয়োজনের তাগিদে আমাদের চলতে হচ্ছে। কোন উপায় নেই। ’
নওয়াপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হুমায়ূন কবির তুহিন বলেন, ‘এ রা¯ত্মার বেহাল দশার একমাত্র কারণ ভাটার ট্রাক । পাঁকা রা¯ত্মার উপর যদি মাঠির গাড়ি চলে তাহলে এমনিতেই রা¯ত্মা নষ্ট হয়ে যায়। এ গাড়ি হতে মাটি পড়ে রা¯ত্মায় ধুলো হয় আবার বৃষ্টি হলে পিচ্ছিল হয়ে যায়। মানুষ চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ে। আমি কয়েকবার এ মাঠির গাড়ি আটকিয়ে রাখছি। কিন্তু তারপরও চলে। আসলে নিষেধ করার পরও কোন আমলে নেই না।’