আবু বকর সিদ্দীক : চিকিৎসা বিজ্ঞানের যাত্রা শুরু মানব সভ্যতার সূচনালগ্ন থেকেই। আর এই চিকিৎসা বিজ্ঞানের আদিতেই ইউনানি বা চিরায়ত মেডিসিনের উদ্ভব। এটি রোগ নিরাময় ও স্বাস্থ্য সুরক্ষার অতি প্রাচীন পদ্ধতি। এ মেডিসিন তথা চিকিৎসা পদ্ধতির গোড়াপত্তন হয়েছিল খ্রিষ্টের জন্মেরও অনেক অনেক বছর পূর্বে—প্রাচীন গ্রীসে। তবে এচিকিৎসা পদ্ধতির শিকড়ের সন্ধান মেলে মিশরে এবং তৎকালীন মেসোপটেমিয়া সভ্যতায়। তদানীন্তন মিশরে ইমহোটেপ যার জন্ম হয়েছিল খ্রিষ্টপূর্ব ২৮০০ অব্দে এবং অ্যামেনহোটেপ যার জন্ম হয়েছিল খ্রিষ্টপূর্ব ১৫৫০ অব্দে—এই দু’জন খ্যাতনাম চিকিৎসক ছিলেন। প্রাচীন গ্রীসে অ্যাসক্লেপিয়াস নামে মেডিসিনের একজন পণ্ডিত ব্যক্তি ইউনানি মেডিসিনের প্রবর্তন করেন। খ্রিষ্টপূর্ব ১২০০ অব্দে অ্যাসক্লেপিয়াস এর জন্ম। তাঁর সময়ে গ্রীকরা মিশরীয় এবং ব্যাবিলনীয়দের চিকিৎসা জ্ঞানের আলোকে ইউনানি মেডিসিন বিকাশ ঘটিয়েছিলেন।
<<আরও পড়তে পারেন>> ‘পারাপার’—এ মুগ্ধ দর্শক
অষ্টাদশ শতাব্দীতে ভারতে বহুমুখী মৌলিক অবদান এবং পরবর্তী প্রজন্মের পণ্ডিতদের দ্বারা নতুন প্রয়োগের কারণে ইউনানি মেডিসিন পদ্ধতি একটি ব্যাপক চিকিৎসা ব্যবস্থা হিসেবে বিকশিত হয়েছিল। ভারতে ইউনানি চিকিৎসার অগ্রপথিক, বিখ্যাত ইউনানি পণ্ডিত ও সমাজ সংস্কারক হাকিম আজমল খান। তিনি ছিলেন ইউননানি মেডিসিনের একজন প্রথিতযশা চিকিৎসক। তিনি ভারতে ইউনানি পদ্ধতির মেডিসিনের ক্ষেত্রে রীতিমত বিপ্লব ঘটিয়েছিলেন। সারা বিশ্বে ইউনানি মেডিসিনের প্রসারে হাকিম আজমল খানের অবদান অবিস্মরণীয়। ভারত সরকার ইউনানি মেডিসিনের প্রসার ও বিকাশকে সহজতর করেছে।
এর উপযোগিতা এবং সুযোগকে স্বীকৃতি দিয়ে ইউনানি চিকিৎসা পদ্ধতিকে স্বাস্থ্যসেবা সরবরাহ ব্যবস্থায় একীভূত করেছে। যাতে মানসম্পন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বিস্তৃত নেটওয়ার্ক, অত্যাধুনিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান এবং মানসম্পন্ন ওষুধ উৎপাদন শিল্প গড়ে উঠেছে। প্রত্যাশিত স্বাস্থ্যসেবা সুবিধা এবং বিপুল সংখ্যক সেবাগ্রহীতার কারণে ইউনানি মেডিসিনে ভারত বিশ্বব্যাপী নেতৃত্বের ভূমিকায় আবির্ভূত হয়েছে। ইউনানি মেডিসিন স্বাস্থ্য রক্ষার পাশাপাশি বিভিন্ন রোগ—ব্যাধি প্রতিরোধে সাহায্য করে। এই চিকিৎসা পদ্ধতিতে স্বাস্থ্যের উপর পারিপার্শ্বিক উপাদান ও পরিবেশের প্রভাব এবং রোগীর মানসিক, আধ্যাত্মিক ও শারীরিক কারণ উদ্ঘাটন করা হয়। এ পদ্ধতিতে রোগের চিকিৎসার পাশাপাশি শরীরকে সুস্থ রাখতে এবং শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে শক্তিশালী করতে চিকিৎসা দেওয়া হয়ে থাকে। ইউনানি চিকিৎসা পদ্ধতি শরীরের সমস্ত অংশে প্রায় সকল ধরনের স্বাস্থ্য সংক্রান্ত সমস্যা এবং রোগের চিকিৎসার সুবিধা প্রদান করে ।
আমাদের দেশের ইতিহাস ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের অংশ হয়ে আছে চিরায়ত মেডিসিন। জনস্বাস্থ্য সুরক্ষায় ইউনানি মেডিসিনের গুরুত্ব উপলব্ধি করে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশ স্বাধীনতা অর্জনের পর ১৯৭২ সালের ৫ জুলাই এক গেজেট বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে ‘বোর্ড অব ইউনানি অ্যান্ড আয়ুর্বেদিক সিস্টেম অব মেডিসিন’ স্থাপন করার জন্য ১২ সদস্যবিশিষ্ট একটি কমিটি ঘোষণা করেন। এর মধ্য দিয়ে বাংলাদেশে আইনগতভাবে এই চিকিৎসা পদ্ধতির সূচনা হয়। পরবর্তীতে ১৯৮২ সালে ইউনানি, আয়ুর্বেদিক প্র্যাকটিস অর্ডিন্যান্সের মাধ্যমে এই চিকিৎসা সেবা কার্যক্রম শুরু হয় এবং একই বছরে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে পরিচালক হোমিও ও দেশজ চিকিৎসা নামে একটি দপ্তর প্রতিষ্ঠা করা হয়। ১৯৮৪ সালে স্নাতক পর্যায়ে ইউনানি, আযুর্বেদিক কোর্স চালু করার জন্য একটি প্রকল্প গ্রহণ করা হয় এবং ১৯৮৯—১৯৯০ সালে সরকারি ইউনানি ও আয়ুর্বেদিক মেডিকেল কলেজে ব্যাচেলর ডিগ্রির ১ম ব্যাচ শুরু হয়। এছাড়া, ইউনানি ও আয়ুর্বেদিক বোর্ডের মাধ্যমে সারাদেশে ডিপ্লোমা ডিগ্রি প্রদান করা হয়।
এদেশে চিরায়ত চিকিৎসা পদ্ধতির ক্ষেত্রে একটি মাইলফলক রচিত হয় ১৯৯৯ সালে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে। এবছর সর্বপ্রথম ৩৩ জন ইউনানি, আয়ুর্বেদিক ও হোমিও চিকিৎসককে জেলা সদর হাসপাতালগুলোতে নিয়োগ দিয়ে এই চিকিৎসা পদ্ধতিকে মূলধারার সাথে সম্পৃক্ত করা হয়। পরবর্তীতে ২০১৪ সালে সারাদেশে ২২৩ জন ইউনানি, আয়ুর্বেদিক ও হোমিও চিকিৎসক নিয়োগ প্রদান করা হয়। বর্তমানে সারাদেশে ২০০টি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, ৫৮টি জেলা হাসপাতাল ও ১২টি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিরায়ত চিকিৎসা সেবা দেওয়া হচ্ছে এবং প্রয়োজনীয় ওষুধ বিনামূল্যে সরবরাহ করা হচ্ছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে ভেষজ ম্যানুয়াল তৈরি করা হয়েছে। এজাতীয় ওষুধের গুণগত মান বজায় রাখার জন্য এবং বিজ্ঞানসম্মত চিকিৎসা প্রদানের জন্য স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে ইউনানি, আয়ুর্বেদিক ও হোমিওপ্যাথিক ফার্মাকোপিয়া এবং ট্রিটমেন্ট গাইডলাইন তৈরি ও সরবরাহ করা হয়েছে।
বাংলাদেশ স্বাধীনতা অর্জনের পর তরুণ হাকীম ইউছুফ হারুন ভূঁইয়া’র উদ্যোগে বাংলাদেশে ইউনানি—আয়ুর্বেদিক চিকিৎসা খাতের যাত্রা শুরু হয়। সময়ের পরিক্রমায় হামদর্দ ইউনানি—আয়ুর্বেদিক চিকিৎসাখাতে যুগান্তকারী বিপ্লব ঘটিয়েছে। গড়ে উঠেছে অসংখ্য ওষুধ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান, মেডিকেল কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়। বাংলাদেশের ইউনানি—আয়ুর্বেদিক চিকিৎসা ব্যবস্থা আন্তর্জাতিকভাবে উচ্চ শিক্ষার আঙিনায় পা রেখেছে। অত্যাধুনিক ল্যাবের মাধ্যমে ইউনানি—আয়ুর্বেদিক চিকিৎসাকে উন্নত পর্যায়ে নিয়ে যেতে নিরন্তর গবেষণা ও পরীক্ষা—নিরীক্ষা করে যাচ্ছে হামদর্দ বিশ্ববিদ্যালয়। হামদর্দ বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশ ভারত, শ্রীলঙ্কা ও তুরস্কের স্বনামধন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করেছে।
ইউনানি পদ্ধতি চিকিৎসার একটি পরিপূর্ণ ব্যবস্থা হলেও অন্যান্য চিকিৎসা পদ্ধতির মতো এর প্রয়োগ ও কার্যকারিতার দিক থেকে কিছু সমস্যা রয়েছে। প্রাচীন ইউনানি পাঠ্যপুস্তকে বর্ণিত মেটেরিয়ামেডিকা কখনও কখনও এতোটাই অস্পষ্ট যে ওষুধ ব্যবহার করার আগে আধুনিক ফার্মাকগনিস্টিক মূল্যায়ন (একটি মৌলিক, বর্ণনামূলক ফার্মাকোলজির মাধ্যমে) দ্বারা সত্যতা প্রতিষ্ঠিত করতে হয়। অধিকন্তু, বহুমূল্য পাথর এবং খনিজ পদার্থের ইউনানি ওষুধে ব্যবহার, অনেক পলিফরমুলেশনের প্রধান উপাদান ব্যয়বহুল।
আমাদের দেশে কতিপয় অসাধু ব্যক্তি ও কোম্পানির চটকদার বিজ্ঞাপনের ফলে জনসাধারণের মধ্যে ভুল বার্তা ছড়িয়ে দিয়েছে। হাকিমী জ্ঞানহীন হাতুড়ে কবিরাজদের তৈরিকৃত মানহীন ওষুধ বিভিন্ন হাটবাজারে পসরা সাজিয়ে সর্বরোগের মহাষৌধ নামে অবলীলায় বিক্রি হতে দেখা যায়। সাধারণ মানুষ হকারদের মনভোলানো বাকচাতুরতায় প্রলুব্ধ হয়ে এসকল ওষুধ কিনে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই প্রতারিত হয়ে থাকে। আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞানের দ্রুত উন্নতি, রোগ নিরাময়ের ক্ষীপ্রগতি ও বহুমুখী পৃষ্ঠপোষকতার কাছে চিরায়ত চিকিৎসা পদ্ধতি অনেকটা দৃষ্টির অন্তরালে চলে যেতে শুরু করে।
সাধারণ মানুষের ধারণা, চিরায়ত চিকিৎসা পদ্ধতি মানেই মাত্র দুই/তিনটা বিশেষ রোগের চিকিৎসা দেয়া হয়ে থাকে। এখাতে আন্তর্জাতিক মানের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও পাঠ্যক্রমের ঘাটতি রয়েছে। গবেষণা কার্যক্রমও খুব সীমিত। চিরায়ত চিকিৎসা খাতে লেখাপড়া শেষ করে যেসকল চিকিৎসক বের হচ্ছেন তাদের সরকারিভাবে কর্মসংস্থানের সুযোগ খুবই কম। এছাড়া সাধারণ মানুষের মধ্যে এ ওষুধের মান এবং কার্যকারিতা নিয়ে আস্থার সংকট রয়েছে। অননুমোদিত প্রতিষ্ঠান, তথাকথিত চিকিৎসক, অসাধু ব্যবসায়ী, সরকারি নিয়ন্ত্রণ ও মনিটরিংয়ে দুর্বলতা সবকিছু মিলিয়ে চিরায়ত চিকিৎসা পদ্ধতি আমাদের দেশে প্রতিবেশি দেশ ভারত, শ্রীলঙ্কা ও পাকিস্তানের মতো বিকশিত হয়নি।
বিষয়টির গুরুত্ব বিবেচনায় নিয়ে আয়ুর্বেদ ও ন্যাচারোপ্যাথি অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (আয়ুন্স) ঐতিহ্যগত চিকিৎসা পদ্ধতির উন্নয়নে কাজ করে আসছে। এ চিকিৎসা পদ্ধতির গুরুত্ব তুলে ধরে দেশের সংশ্লিষ্ট তরুণ সমাজের মধ্যে এ বিষয়ে সচেতনাতনার সৃষ্টি ও এই বিষয়ে গবেষণা এবং উন্নয়নের জন্য আয়ুনস ভূমিকা পালন করছে। ২০১৪ সালে ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের বিকল্প চিকিৎসা ও শিক্ষার উন্নয়নে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়। এই সমঝোতা স্মারকের আলোকে দু’দেশের মধ্যে যৌথ গবেষণা, বিশেষজ্ঞ অভিজ্ঞতা বিনিময়সহ ওষুধ তৈরির পারষ্পরিক স্বীকৃতি জোরদার হলে শিক্ষা ও চিকিৎসা ক্ষেত্রে উভয় দেশই লাভবান হতে পারে।
দিন যত যাচ্ছে মানুষের কল্যাণে ব্যাপকভাবে বিস্তৃত হচ্ছে এই খাত। বাস্তবতার নিরিখে চিকিৎসা সেবার সাংবিধানিক অধিকার সর্বত্র পৌঁছে দিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ইউনানি ও আয়ুর্বেদিক ওষুধের অপার সম্ভাবনাকে কাজে লাগাবার উদাত্ত আহ্বান জানিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘বিকল্প ওষুধ হিসেবে ইউনানিসহ ভেষজ ওষুধকে গুরুত্ব দিতে হবে। বিশ্বের সর্বত্রই এখন ভেষজ ওষুধের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। সুতরাং এ বিষয়ে গবেষণা বাড়াতে হবে। এ চিকিৎসাগুলো যেন মানুষ সহজভাবে নিতে পারে সেদিকে সরকারের লক্ষ্য রয়েছে।’ সরকার ইউনানি—আয়ুর্বেদিক চিকিৎসা ও শিক্ষাখাতকে নিয়ে সুদূরপ্রসারি পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। এসডিজি’র লক্ষ্যমাত্রা—৩: সর্বজনীন স্বাস্থ্য সেবা প্রদানে চিরায়ত চিকিৎসা পদ্ধতি বিশেষ ভূমিকা রাখছে। বাংলাদেশে সরকারি হাসপাতালগুলোতে বহির্বিভাগের আগত রোগীদের ২৮ শতাংশ রোগী এই চিকিৎসা পদ্ধতির সেবা গ্রহণ করে থাকে।
সরকার আগামীতে সকল জেলা ও উপজেলা হাসপাতালে ০১ জন ইউনানি, ০১ জন আয়ুর্বেদিক ও ০১ জন হোমিওপ্যাথিক মোট ০৩জন করে ডাক্তার নিয়োগ প্রদান করবে এবং সকল জেলা ও উপজেলা হাসপাতালে বহির্বিভাগে চিরায়ত চিকিৎসা সেবা জোরদার করা হবে। এছাড়া গুণগত মানসম্পন্ন ওষুধ তৈরির জন্য গবেষণা কার্যক্রম বেগবান করা হবে। বিমসটেক দেশগুলোর মধ্যে অভিন্ন চিরায়ত চিকিৎসা সেবা প্রদানের জন্য সরকার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে যেভাবে বিভিন্ন সেক্টরে উন্নয়ন—অগ্রগতি সাধিত হচ্ছে ঠিক সেভাবে চিরায়ত মেডিসিন সেক্টরেরও উন্নয়ন হবে এবং দেশের মানুষের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় চিরায়ত মেডিসিন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
চিরায়ত চিকিৎসা পদ্ধতিকে কেন্দ্র করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ডঐঙ গ্লোবাল ট্র্যাডিশনাল মেডিসিন সেন্টার স্থাপনসহ সদস্যভূক্ত রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে জ্ঞান বিনিময়ের নানামুখী উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। উন্নত ও উন্নয়নশীল বিভিন্ন দেশে এই চিকিৎসা পদ্ধতি ওপর বিশেষভাবে গুরুত্ব প্রদান করা হচ্ছে এবং নিজস্ব পরিমন্ডলে শিক্ষা, গবেষণা ও পৃষ্ঠপোষকতা প্রদান করা হচ্ছে। আগামীদিনের স্বাস্থ্য ঝুঁকি মোকাবিলা ও সর্বজনীন স্বাস্থ্য সেবা সরবরাহ নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে চিরায়ত চিকিৎসা পদ্ধতিকে মোক্ষম হাতিয়ার মনে করা হচ্ছে। আশা করা হচ্ছে, চিরায়ত চিকিৎসা পদ্ধতির সোনালি অতীতের সাথে আধুনিক বিজ্ঞানের সম্মিলনে চিকিৎসা বিজ্ঞানের এক নব দিগন্ত উন্মোচিত হবে। — পিআইডি ফিচার
লেখক : জনসংযোগ কর্মকর্তা, ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়।