২০শে মে ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৬ই জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিক্ষকদের বিরুদ্ধে গাইড বই কিনতে বাধ্য করার অভিযোগ
শিক্ষকদের বিরুদ্ধে গাইড বই কিনতে বাধ্য করার অভিযোগ

নেংগুড়াহাট (মনিরামপুর) প্রতিনিধি : মনিরামপুর উপজেলার রাজগঞ্জ, নেংগুড়াহাট এলাকায় সহায়ক বইয়ের নামে নিষিদ্ধ নোট-গাইড কিনতে শিক্ষার্থীদের ওপর চাপ দিচ্ছেন শিড়্গকরা এমন অভিযোগ উঠেছে।

অসাধু ব্যবসায়ীদের সহযোগিতায় শিক্ষকদের একটি চক্র কৌশলে নোট বই ধরিয়ে দিচ্ছে এবং নির্দিষ্ট নামের বা প্রকাশনীর বই কিনতে বাধ্য করছেন।


আইন অনুযায়ী পাঠ্যবইয়ের বাইরে শিড়্গার্থীরা অন্য কোনো সহায়ক বই ব্যবহার করতে পারবে না। এমনকি নোটবই প্রকাশনা ও বিক্রি করা নিষিদ্ধ হয়েছে। এ আইন উপেক্ষা করেই রাজগঞ্জ, নেংগুড়াহাটসহ বিভিন্ন বাজারে অহরহ নোটবই বিক্রি হচ্ছে।


অধিকাংশ স্কুলে পাঠ্যতালিকা (বুকলিস্ট) তৈরিতে নিয়ম ভঙ্গ করা হচ্ছে। বিভিন্ন শিক্ষক সমিতি নামে সংগঠনের ছায়াতলে সিন্ডিকেট তৈরি করে নিষিদ্ধ গাইড বই কিনতে বাধ্য করছেন শিক্ষার্থীদের। কেজি স্কুল থেকে শুরম্ন করে প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সবখানেই ওই সিন্ডিকেটের লাখ লাখ টাকার গাইড বাণিজ্য চলছে।


খোঁজ নিয়ে জানাযায়, বিদ্যালয়ে পাঠ্যতালিকায় বই রাখার বিষয়টি নির্ভর করে ডোনেশন (অনুদান) নামে ঘুষের ওপর। নিজের প্রকাশনীর বই রাখার বিনিময়ে প্রকাশনীগুলো শিক্ষক সমিতিকে দেয় বড় অঙ্কের অর্থ।

এ ছাড়াও শিক্ষকদের সঙ্গে যোগসাজশ তৈরি করেন বিভিন্ন গাইড বই প্রকাশনীর প্রতিনিধিরা। সমিতির বাইরের প্রতিটি বিদ্যালয়কে এজন্য দেন একটি নির্দিষ্ট অঙ্কের অর্থ। এসব ঘুষ বা অর্থের লেনদেনের কারণে শিড়্গার্থীদেরকে বিভিন্ন প্রকাশনীর বই কিনতে বাধ্য করেন শিড়্গকরা।


রাজগঞ্জ, নেংগুড়াহাট অঞ্চলের কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান মিলে শিক্ষক সমিতি তৈরি করে বই নির্ধারণ করে দিচ্ছেন। কোন স্কুল কোন গাইড বই ব্যবহার করতে পারবে সেটাও নির্ধারিত হচ্ছে সমিতির নামেই।


শিড়্গার্থীরা জানান, নির্দিষ্ট প্রকাশনার নোট গাইড, গ্রামার ও ব্যাকরণ বই কিনতে বলা হচ্ছে। নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে রাজগঞ্জে বিভিন্ন বইয়ের দোকানে বিক্রি হচ্ছে এসব অবৈধ গাইড বই।


বইয়ের দোকান গুলোতে খোঁজ নিয়ে জানাযায়, পাঞ্জেরী, গ্যালাক্সি, লেকচার, অনুপম, জননী, জুপিটার, আদিল, দিকদর্শন প্রভৃতি নামে নোট ও গাইড কিনতে হচ্ছে শ্রেণী ও স্কুল ভেদে।

টেন টিচার পাবলিকেশনসহ বিভিন্ন প্রকাশনীর ছাপানো নিষিদ্ধ নোট ও গাইড বই মুড়ি-মুড়কির মতো বিক্রি হচ্ছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধানদের ম্যানেজ করে শিক্ষার্থীদের মধ্যে ছড়িয়ে দিচ্ছে ভুলে ভরা এসব নি¤্নমানের গাইড বই।


রাজগঞ্জ এলাকার নাম প্রকাশ না করা এক অভিভাবক বলেন, নোট ও গাইড বইয়ের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদেরকে মুখস্থবিদ্যার দিকে নিয়ে যাচ্ছেন শিড়্গকরা। এসব গাইড ও নোট ব্যবহারের জন্যে শিক্ষার্থীদের উদ্বুদ্ধ করছেন তারা।


এ বিষয়ে কথা হয় উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সাথে। তিনি বলেন, উপজেলার বইয়ের দোকানগুলোতে গাইড ও নোট বই বিক্রির কথা শুনেছেন। এব্যাপারে প্রশাসনকে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্যে বলা হয়েছে।

সম্পাদক ও প্রকাশক : শাহীন চাকলাদার  |  ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক : আমিনুর রহমান মামুন।
১৩৬, গোহাটা রোড, লোহাপট্টি, যশোর।
ফোন : বার্তা বিভাগ : ০১৭১১-১৮২০২১, ০২৪৭৭৭৬৬৪২৭, ০১৭১২-৬১১৭০৭, বিজ্ঞাপন : ০১৭১১-১৮৬৫৪৩
Email : samajerkatha@gmail.com
পুরাতন খবর
FriSatSunMonTueWedThu
 12
3456789
10111213141516
17181920212223
24252627282930
31 
স্বত্ব © samajerkatha :- ২০২০-২০২২
crossmenu linkedin facebook pinterest youtube rss twitter instagram facebook-blank rss-blank linkedin-blank pinterest youtube twitter instagram