২৮শে এপ্রিল ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১৫ই বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
খোশ আমদেদ মাহে রমজান
53 বার পঠিত

সমাজের কথা ডেস্ক : আজ পবিত্র মাহে রমজানের পঞ্চম দিবস। ইতোমধ্যে সিয়াম সাধনার উদ্দেশ্যে ভোররাতে সেহরি গ্রহণের মাহাত্ম্য ও গুরুত্ব তুলে ধরা হয়েছে। আজ যথাসময়ে ইফতার গ্রহণের প্রয়োজনীয়তার ওপর সামান্য আলোকপাত করব। সেহরি অর্থ ভোররাতে রোজা রাখার মানসে পানাহার গ্রহণ। আর ইফতার অর্থ সূর্য ডোবার পর কোনো পানাহার দিয়ে রোজা ভঙ্গ করা। রোজা রাখা যেমন সাওয়াবের কাজ, সেহরি গ্রহণ যেমন বরকতের কাজ, তেমনি যথাসময়ে ইফতার গ্রহণও ইসলাম ধর্মের রোজার একটি বিশেষ বৈশিষ্ট্য ও পুণ্যের কাজ।

আমরা অনেক সময় ব্যস্ততা ও অবহেলার কারণে বিষয়টি বেমালুম ভুলে যাই। আর কেউ কেউ অজ্ঞতাবশত মনে করেন, দেরিতে ইফতার করা বুঝি একটু বেশি সাওয়াবের কাজ। এমন ধারণা মোটেই ঠিক নয়। আমাদের দয়াল নবী হযরত মুহাম্মদ (স.) রোজার অনুশাসন প্রবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে মানব কল্যাণের বিষয়টিকেও সমান গুরুত্ব দিয়েছেন। তার ওপর লাখো দরূদ ও সালাম, তিনি যথার্থই বলেছেন, আমার উম্মতগণ ততদিন পর্যন্ত বরকতময় ও প্রাচুর্যময় জীবন অতিবাহিত করবে, যতদিন তারা যথাসময়ে মুখে ইফতার নেবে।’ তাই আমাদের উচিৎ দিনভর সিয়াম সাধনা করার পর সূর্য অস্ত গেলে কালবিলম্ব না করে ইফতার গ্রহণ করা।

উলে¬খ্য, ইফতারির আইটেমের মধ্যে বর্তমানে আমাদের দেশে টক ঝাল মিষ্টিজাতীয় নানা দ্রব্যের প্রতি সাধারণ মানুষের প্রবল ঝোঁক দেখা যায়। এসব যদি হালাল পথে উপার্জিত এবং স্বাস্থ্যসম্মত হয় তবে নাÑজায়েযের কিছু নেই। সচরাচর বিভিন্ন দেশে আল¬াহর বান্দারা বিচিত্র রকমের পানাহারে অভ্যস্ত। এসব পানাহার ও খাদ্যদ্রব্য ব্যবহার করে আল¬াহর শুকরিয়া আদায় করাই বড় কথা। তবে খোরমা দিয়ে ইফতার করা সবচেয়ে উত্তম।

এছাড়া মিষ্টিজাত দ্রব্য অথবা পানীয় দ্বারা ইফতার করা ভাল। সাহাবী আনাস (রাদি.) বলেন, আল¬াহর রাসূল (সা.) (মাগরিবের) নামাজের পূর্বে ইফতার করতেন কয়েকটি তাজা খেজুর দিয়ে। যদি তিনি তাজা খেজুর না পেতেন, শুকনো খেজুর (অর্থাৎ খুরমা) দিয়ে, আর যদি তাও না পেতেন তাহলে কয়েক ঢোক পানি পান করে নিতেন। — (রিয়াদুস্সালেহীন)। আমরা ইফতার গ্রহণের সূচনাতে সামান্য খোরমা/ মিষ্টিজাত কিংবা পানি মুখে দিয়ে সুন্নাতের সাওয়াব পেতে পারি। এরপরই অন্যান্য আহার্য গ্রহণ করা যায়।

হাদিস সংকলন দারে কুতনীতে এসেছে : রোজাদারের সামনে যখন ইফতারের জন্য আল¬াহর নেয়ামত Ñ খাদ্যদ্রব্য আসে তখন এ বলে শুকরিয়া আদায় করা উচিত, ‘আল¬াহর নামে আরম্ভ করি এবং তারই প্রশংসা করি। প্রভু হে ! তোমারই উদ্দেশ্যে আমি রোজা রেখেছিলাম। এখন তোমারই দেওয়া রিজিক থেকে ইফতার করছি। তুমি পবিত্র প্রশংসনীয়। আমার রোজা কবুল কর। তুমি তো সর্বশ্রোতা এবং সবজান্তা।’ প্রিয় নবী (স.) ইরশাদ করেছেন: যে ব্যক্তি কোনো রোজাদারকে ইফতার করাবে, সে ব্যক্তির জন্য তা গুনাহ মাফ ও দোজখের আগুন হতে নাজাতের কারণ হয়ে দাঁড়াবে।

রোজাদারের পুণ্যের সমান পুণ্য লাভ করবে। অথচ রোজাদারের সাওয়াব থেকে বিন্দুমাত্র কম করা হবে না। (এমনকি) যে ব্যক্তি কাউকে একটি খেজুর/কিছু পানি কিংবা সামান্য দুধ দিয়ে ইফতার করবে, আল¬াহ পাক তাকেও উত্তম সাওয়াব প্রদান করবেন। (এছাড়া) যে ব্যক্তি কোনো রোজাদারকে তৃপ্তির সঙ্গে আহার করাবে, আল¬াহ তায়ালা তাকে হাউসে কাউসার হতে এমন পানি পান করাবেন যে, বেহেশতে প্রবেশ পর্যন্ত সে আর পিপাসা অনুভব করবে না। (বুখারী, মুসলিম, আহমদ)

সম্পাদক ও প্রকাশক : শাহীন চাকলাদার  |  ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক : আমিনুর রহমান মামুন।
১৩৬, গোহাটা রোড, লোহাপট্টি, যশোর।
ফোন : বার্তা বিভাগ : ০১৭১১-১৮২০২১, ০২৪৭৭৭৬৬৪২৭, ০১৭১২-৬১১৭০৭, বিজ্ঞাপন : ০১৭১১-১৮৬৫৪৩
Email : samajerkatha@gmail.com
পুরাতন খবর
FriSatSunMonTueWedThu
 1234
567891011
12131415161718
19202122232425
2627282930 
স্বত্ব © samajerkatha :- ২০২০-২০২২
crossmenu linkedin facebook pinterest youtube rss twitter instagram facebook-blank rss-blank linkedin-blank pinterest youtube twitter instagram