নিজস্ব প্রতিবেদক : যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতালে সিজারিয়ানের পর ৫দিন খুলনা—ঢাকা ঘুরে যশোর হাসপাতালেই মারা গেছেন প্রসুতি সাথী বেগম (৩২)। তার নবজাতক ছেলেকে দেখে মুর্ছা যাচ্ছেন স্বজনরা। তাদের অভিযোগ, সিজারিয়ানের পর সার্থী অসুস্থ হয়ে পড়লে কোন দায়িত্ব না নিয়েই রেফার করে হাসপাতাল কতৃর্পক্ষ। খুলনা—ঢাকা করতে করতে তার কোন চিকিৎসা হয়নি, হয়েছে হয়রানী। শেষ পর্যন্ত বাঁচানো গেল না।
রোববার দুপুরে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের আইসিইউতে নেওয়ার পথে তিনি মারা যান। এ সময় স্বজনদের কান্নায় হাসপাতালের পরিবেশ ভারি হয়ে ওঠে। এক নজর মৃত মা ও নবজাতক শিশুকে দেখার জন্য হাসপাতালের জরুরি বিভাগের সামনে ভিড় করেন শত শত সাধারণ মানুষ। মৃত সাথী সদর উপজেলার মধুপুর গ্রামের শিমুল হোসেনের স্ত্রী।
হাসপাতালে কান্না জড়িত কণ্ঠে মৃত সাথী বেগমের বাবা হারুন অর রশিদ অভিযোগ করেন, গত সোমবার(২২ জানুয়ারি) ভালো মেয়েকে যশোর জেনারেল হাসপাতালে প্রসূতী ওয়ার্ডে ভর্তি করি। পরীক্ষা—নিরীক্ষা শেষে মঙ্গলবার (২৩জানুয়ারি) সকালে ডাক্তার প্রতিভা ঘরাই সিজার করেন। এ সময় মেয়ের একটি ছেলে সন্তান জন্ম হয়। এর পরে জ্ঞান না ফেরায় মেয়েকে চিকিৎসকরা হাসপাতালের আইসিইউতে পাঠায়।
পরে প্রসাব—পায়খানা না হওয়ায় সাথীর পেট ফুলে যায়। আইসিইউর ডাক্তার ওই রাতে মেয়েকে খুলনায় রেফার করেন। চিকিৎসকের কথা মত সাথীকে খুলনা হাসপাতালে নেওয়া হয়। কিন্তু সেখানকার চিকিৎসকরা উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান। সেখানে চিকিৎসাধীন থাকার পরে চিকিৎসকরা আবার রোবাবর যশোরে পাঠান। এদিন দুপুরে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে আইসিইউতে নেওয়ার জন্য মেয়ে সাথীকে এ্যাম্বুলেন্স থেকে নামিয়ে ওয়ার্ডে নেওয়ার পথে মেয়ে মারা যায়। পরে মোবাইল ফোনে তিনি জানান, রাতেই মেয়ের দাফন সম্পন্ন হয়েছে।
এ ব্যাপারে হাসপাতালে গাইনী ডাক্তার প্রতিভা ঘরায়ের সাথে মোবাইল ফোনে বার বার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।
তবে হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডাক্তার হারুন অর রশিদ জানান, এ মৃত্যুর বিষয়ে তার কিছুই জানা নেই। কেই অভিযোগও দেয়নি। অভিযোগ পেলে খে৭াজ খবর নেবেন।