সমাজের কথা ডেস্ক : সিরাজগঞ্জের শহীদ এম মনসুর আলী মেডিকেল কলেজের শিক্ষক রায়হান শরীফের পিস্তলের গুলিতে আহত হয়েছেন ২ শিক্ষার্থী। এ ঘটনার পর শিক্ষককে হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ।
আজ সোমবার বিকেল পৌনে ৫টার দিকে ওই মেডিকেল কলেজের ক্লাসে মৌখিক পরীক্ষার সময় এ ঘটনা ঘটে। এ তথ্য জানান সিরাজগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হান্নান মিয়া।
গুলিবিদ্ধ ছাত্রের নাম আরাফাত আমিন তমাল। তিনি অষ্টম ব্যাচের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র। তাকে শহীদ এম মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এদিকে, কানের পাশ দিয়ে গুলি যাওয়ায় এক ছাত্রী আহত হয়েছেন। তাৎক্ষণিকভাবে তার নাম জানা যায়নি। তিনিও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
ওই কলেজের শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, শিক্ষক রায়হান বিভিন্ন সময়ে ছাত্র—ছাত্রীদের কুপ্রস্তাব ও ভয়ভীতি দেখাতেন। এ বিষয়ে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ দিলেও কলেজ কর্তৃপক্ষ কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। এমনকি তিনি কমিউনিটি মেডিসিনের শিক্ষক হওয়ার সত্বেও তার নিজস্ব ক্ষমতা দেখিয়ে ফরেনসিক বিভাগে ক্লাস নেন। ক্লাস চলাকালীন ছাড়াও প্রায় সময়ই তিনি পিস্তল নিয়ে চলাফেরা করেন।
আজ বিকেলে পিস্তল ও ১০—১৩টা দেশি ধারাল চাকু নিয়ে ক্লাসে মৌখিক পরীক্ষা নিতে আসেন রায়হান। এসময় রায়হান তমালকে লক্ষ্য করে গুলি করেন। গুলিটি তমালের পায়ে বিদ্ধ হয়। তখন তমালের চিৎকারে অন্য শিক্ষার্থীরা এগিয়ে গিয়ে শিক্ষক রায়হানকে তালাবদ্ধ করে রাখেন। এরপর আহত অবস্থায় তমালকে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে ভর্তি করা হয়।
বর্তমানে ওই শিক্ষকের বিচার চেয়ে ওই মেডিকেল কলেজের ছাত্র—ছাত্রীরা আন্দোলন করছে।
এ বিষয়ে জেলা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জুলহাজ উদ্দিন জানান, ‘ওই শিক্ষক প্রতিদিন ক্লাসে পিস্তল নিয়ে আসতেন। আজ বিকেল তুচ্ছ বিষয় নিয়ে শিক্ষক—ছাত্রের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে ওই শিক্ষক রাগ নিয়ন্ত্রণ করতে না পেরে গুলি করেন। এ ঘটনার পর ওই শিক্ষককে হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।’